Main Menu

সুনামগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন দুই মন্ত্রী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সুনামগঞ্জে নির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।

রবিবার সকালে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তারা।

প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের ফলে হাওর অধুষিত সুনামগঞ্জ জেলার অদক্ষ ও শিক্ষিত বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন মাইল ফলক উন্মুচন হয়েছে। এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রবাসে গিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। আমরা মেশিন ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক পিচিয়ে আছি সারা দুনিয়াতে। আমরা যন্ত্রপাতির ব্যবহার জানি না। প্রয্ুিক্তর ব্যবহার খুবই জরুরী। এটির ব্যবহার ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। কাজ করতে করতে জাপানীরা কাজের টেবিলে মারা যায় আর বাঙালীদের মত্যু হয় বিছানায় শুয়ে শুয়ে। এটাই তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য। জাপানে তেল নেই, গ্যাস নেই, সোনাদানা নেই। আমাদের মতো ধান, সবজি, মাছ, পশুপাখি নেই জাপানীদের। তাদের মানুষের শ্রম আছে। মরে হলেও সেই কাজ সম্পন্ন করে ছাড়বে। আমাদের সে দিকে যেতে হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা পড়াশুনায় পিচিয়ে ছিলাম। এখন সরকারের মাথা ঘুরেছে আমাদেরও মাথা ঘুরাতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিদেশে কাজ করে খাই। বিদেশে যারা যান তারা সোনার মানুষ, রেমিটেন্স যোদ্ধা। তারা যদি ভাষা ও দক্ষতা অর্জন করে বিদেশ যান তাদের মর্যাদা বাড়ার পাশাপাশি উপার্জন বাড়বে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হলো বঙ্গবন্ধুর প্রতি, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস। এটি আমাদের শেষ নয়, এটি আমাদের শুরু। সারা বাংলাদেশে ১০০ টি টিসি নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে সিলেট অঞ্চলে ৮ টি নির্মাণ করা হবে। এই ৮টির মধ্যে সুনামগঞ্জে ৪ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশ থেকে ৫-১০ বছর কাজ করে এসেছেন তাদের দক্ষতার সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করছি। ইনশাল্লাহ তারা আবার বিদেশ গেলে আগের চেয়ে দিগুন বেতন পাবেন।

তিনি বলেন, জমি বিক্রি করে ছেলেদের বিদেশ না পাঠিয়ে এই জমিতে চাষাবাদ করে সন্তানদের স্বাভলম্বী করুন। যারা বিদেশ থেকে প্রতারিত হয়ে দেশে এসে কান্নাকাটি করে তাদের আমি বলি বিদেশ যাওয়ার আগে জেনে যাওনি কেন। দালালদের খপ্পরে পড়ে অদক্ষ অবস্থায় বিদেশ যেতে বারণ করেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপকিত্বে ও জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক পাবেলের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়ােজ্জেম হোসেন রতন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক এনডিসি মো. শহীদুল আলম।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *