Main Menu

বিশ্বনাথের পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের অনুরোধ

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাসিয়া নদীর সেতুর নিচ যেনো ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নদীটি দখলবাজদের দখল আর দূষণে আজ বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের ফেলা বর্জে দুষিত হচ্ছে পৌর শহরের পরিবেশ। এছাড়াও নতুন বাজার পুরান বাজারের বিভিন্ন স্থানে জমে রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ।

পৌর শহরের এমন সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এগুলো পরিদর্শণ করতে রোববার ভোরে পৌর শহরের বের হন নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাস। তিনি পৌর শহরের বিভিন্ন গলি ও বাসিয়া সেতুর করুণ পরিবেশ দেখে তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ছবিসহ এক হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস দিয়ে পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতন মহলের কাছে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তিনি নতুন প্রজন্মকেও দূষিত পরিবেশ থেকে রক্ষার জন্য স্ট্যাটাসে আহবান জানান।

ইউএনও’র এই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাসটি হুবহো ধরে তুলা হলো- কোন সৃষ্টিই কেবল নিজের জন্য বাঁচে না বরং নিজের এবং তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাঁচে। অথচ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও শুধু নিজের জন্য বাঁচতে গিয়ে নির্দয় ও নিষ্ঠুরতার সাথে নষ্ট করছে প্রকৃতি ও ভবিষ্যত প্রজন্মের পৃথিবীকে। এখন মানুষ ভবিষ্যত প্রজন্মের সুখ, শান্তি ও নিশ্চয়তা বলতে কেবল বুঝে নগদ অর্থ, ব্যাংক ব্যালেন্স ও সুরম্য অট্রালিকা।

বাসিয়া একটি নদী যা কুশিয়ারা ও সুরমা নদীকে সংযুক্ত করেছে। বিশ্বনাথ উপজেলায় বাসিয়ার অধিকাংশ পথচলা। এই নদীর উভয় পাড় দখল করে তৈরি হয়েছে অবৈধ বাড়ি, ব্যবসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। যে টুকু অবশিষ্ট আছে বাসিয়ার সেটুকুর বুক জুড়ে বিরাজ করছে বিশ্বনাথ শহরের সকল ময়লা, বর্জ্য ও আবর্জনা। এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে এই নদী ও শহরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভাবনার অবকাশ পেয়েছি। আজ সকাল বেলা নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে কেবল নদীর কান্না শুনতে পেলাম। প্রকৃতির চলার পথকে মসৃণ ও প্রাণবন্ত করা আপনার, আমার, সকলের দায়িত্ব। আসুন নদী ও প্রকৃতিকে রক্ষা করি, আমাদের ভবিষ্যৎ আমরাই সুরক্ষিত রাখি।

এব্যাপারে ইউএনও বলেন, দুটি বাজারের ব্যবসয়ী ও ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে জরুরীভাবে বৈঠক করে পরিবেশ রক্ষার জন্য ব্যবস্থা করবেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *