Main Menu

আল কোরআনের ১১৪টি সূরার আরবি ও বাংলা নাম

ইসলাম ডেস্ক : মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন ফেরেশতা হযরত জীবরাঈল (আঃ) এর কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে পবিত্র হেরা গুহায় কুরআন শরীফ নাযিল করেছিলেন। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থের নাম আল কোরআন।

কোরআনের প্রথম ওহী
‘পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।’(সূরা আলাক ১-৫)

এবং কোরআনের সর্বশেষ ওহী
‘সে দিনকে ভয় করো যেই দিন তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে নেয়া হবে ।’(সূরা আল বাকারা ২৮১)

পবিত্র আল কোরআনে মোট ১১৪টি সূরা, যা নাজিল হয়েছিল মোট ২২ বছর ৫ মাস সময়ে। নিচে কোরআনের ১১৪টি সূরার আরবি ও বাংলা নাম দেয়া হল

১. আল ফাতিহা (সূচনা)

২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর)

৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)

৪. আন নিসা (নারী)

৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)

৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)

৭. আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ)

৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ)

৯. আত তাওবাহ্ (অনুশোচনা)

১০. ইউনুস (নবী ইউনুস)

১১. হুদ (নবী হুদ)

১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ)

১৩. আর রা’দ (বজ্রপাত)

১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম)

১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়)

১৬. আন নাহল (মৌমাছি)

১৭. বনী-ইসরাঈল (ইহুদী জাতি)

১৮. আল কাহফ (গুহা)

১৯. মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা)

২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা)

২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ)

২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ)

২৩. আল মু’মিনূন (মুমিনগণ)

২৪. আন নূর (আলো)

২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রন্থ)

২৬. আশ শুআরা (কবিগণ)

২৭. আন নম্ল (পিপীলিকা)
২৮. আল কাসাস (কাহিনী)

২৯. আল আনকাবূত (মাকড়শা)

৩০. আর রুম (রোমান জাতি)

৩১. লোক্মান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি)

৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদা)

৩৩. আল আহ্যাব (জোট)

৩৪. সাবা (রানী সাবা/শেবা)

৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা)

৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন)

৩৭. আস ছাফ্ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো)

৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ)

৩৯. আয্-যুমার (দলবদ্ধ জনতা)

৪০. আল মু’মিন (বিশ্বাসী)

৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ)

৪২. আশ্-শূরা (পরামর্শ)

৪৩. আয্-যুখরুফ (সোনাদানা)

৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া)

৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু)

৪৬. আল আহ্ক্বাফ (বালুর পাহাড়)

৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ)

৪৮. আল ফাৎহ (বিজয়, মক্কা বিজয়),

৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),

৫০. ক্বাফ (ক্বাফ),

৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),

৫২. আত্ব তূর (পাহাড়),

৫৩. আন-নাজম (তারা),

৫৪. আল ক্বামার (চন্দ্র)

৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়)

৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্ (নিশ্চিত ঘটনা)

৫৭. আল হাদীদ (লোহা)

৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),

৫৯. আল হাশ্র (সমাবেশ),

৬০. আল মুম্তাহিনাহ্ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),

৬১. আস সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),

৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),

৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),

৬৪. আত তাগাবুন (মোহ অপসারণ),

৬৫. আত ত্বালাক (তালাক),

৬৬. আত তাহ্রীম (নিষিদ্ধকরণ),

৬৭. আল মুল্ক (সার্বভৌম কতৃত্ব)
৬৮. আল ক্বলম (কলম),

৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),

৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),

৭১. নূহ (নবী নূহ)

৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)

৭৩. আল মুয্যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)

৭৪. আল মুদ্দাস্সির (পোশাক পরিহিত),

৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনর্ত্তুান),

৭৬. আদ দাহ্র (মানুষ),

৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),

৭৮. আন্ নাবা (মহাসংবাদ),

৭৯. আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),

৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন)
৮১. আত তাক্ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),

৮২. আল ইন্ফিতার (বিদীর্ণ করা),

৮৩. আত মুত্বাফ্ফিফীন (প্রতারণা করা),

৮৪. আল ইন্শিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),

৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),

৮৬. আত তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),

৮৭. আল আ’লা (সর্বোন্নত),

৮৮. আল গাশিয়াহ্ (বিহ্বলকর ঘটনা),

৮৯. আল ফাজ্র (ভোরবেলা),

৯০. আল বালাদ (নগর),

৯১. আশ শামস (সূর্য),

৯২. আল লাইল (রাত্রি),

৯৩. আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ)

৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্থকরণ),

৯৫. আত ত্বীন (ডুমুর),

৯৬. আল আলাক (রক্তপিন্ড),

৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),

৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ)

৯৯. আল যিল্যাল (ভূমিকম্প),

১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী)

১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট)

১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা)

১০৩. আল আছর (সময়),

১০৪. আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),

১০৫. আল ফীল (হাতি),

১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),

১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),

১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),

১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),

১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),

১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),

১১২. আল ইখলাস (একত্ব)

১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর)

১১৪. আন নাস (মানবজাতি)

অন্যান্য তথ্য
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম,তোমাদের উপর আমার নেয়ামত পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের জন্যে জীবন বিধান হিসেবে আমি ইসলামের উপর সন্তুষ্ট হলাম ।’(সূরা আল মায়েদাহ ৩)।

কোরআন নাযিলের শুরু
কোরআন নাযিলের ছয় মাস আগে থেকেই আল্লাহ তায়ালা মোহাম্মদ (সঃ) কে স্বপ্নের মাধ্যমে এ মহান কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছিলেন। ইতিহাসের প্রমাণ অনুযায়ী প্রথম ওহী এসেছিল রমযান মাসের ২১ তারিখ সোমবার রাত্রে। মোহাম্মদ (সঃ) এর বয়স ছিল তখন ৪০ বছর ৬ মাস ১২ দিন।

হযরত আয়েশা (রঃ) হতে বর্ণিত আছে, প্রিয় নবী (সঃ)এর উপর ওহী নাযিলের সূচনা হয়েছিল স্বপ্নের মাধ্যমে । তিনি স্বপ্নে দেখতেন তা দিনের আলোর মতো তাঁর জীবণে প্রতিভাত হতো ।হযরত জীবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে ওহী প্রাপ্তির আগে আস্তে আস্তে তিনি নির্জনতাপ্রিয় হয়ে ওঠেন, হেরা গুহায় নিভৃতে আল্লাহ তায়ালার ধ্যানে তিনি মশগুল হয়ে পড়েন এবং বিশাল সৃষ্টি ও তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীর চিন্তা ভাবনা করতে থাকেন।এভাবেই হেরা গুহার তাঁর দিন ও রাত কাটে ।খাবার পানি শেষ হয়ে গেলে সেসব নেয়ার জন্যেই তিনি শুধু বাড়ি যেতেন। মাঝে মাঝে তাঁর প্রিয় স্ত্রী হযরত বিবি খাদিজা (রঃ) তাঁকে হেরা গুহায় খাবার দিয়ে আসতেন।এমনি করে একদিন জীবাঈল (আঃ)মহানবীর কাছে এসে গভীর কণ্ঠে তাঁকে বলেন ‘ইকরা ‘ পড়ুন। মোহাম্মদ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। উদ্বেলিত কণ্ঠে তাঁকে বলেন ‘আমি তো পড়তে জানি না’। ফেরেশতা মহানবী (সঃ) কে বুক চেপে ধরে আবার বলেন, পড়ুন ।তৃতীয় বার যখন ফেরেশতা তাঁকে বুকে আলিংগন করে ছেড়ে দিয়ে বলেন,পড়ুন তখন এবার মোহাম্মদ (সঃ) ওহীর প্রথম পাঁচটি আয়াত পড়লেন।তারপর সাথ সাথে হযরত জীবরাঈল (আঃ) সেখান থেকে চলে গেলেন । অতপর: ফেরেশতা চলে যাবার পর মহানবী (সঃ) ঘরে ফিরলেন তারপর তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে বললেন আমাকে চাদর দিয়ে শক্ত করে ঢেকে দাও । আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও । হযরত খাদীজা (রঃ) প্রিয় নবীকে চাদর দিয়ে জড়িয়ে ধরলেন।এরপর তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে আপনার?আপনি এত কাঁপছেন কেন?রাসূল (সঃ) বললেন,একজন অভিনব ব্যক্তি আমার কাছে এসে আমাতক বললেন,পড়ুন। আমি বললাম আমি তো পড়তে জানি না। তারপর তিনি আমাকে তিন তিনবার আমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন তারপর তাঁর সাথে আমি পড়তে শুরু করলাম। তাঁর কথা শুনে খাদিজা (রঃ) বললেন,আপনার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই কেননা আপনি মানুষের উপকার করেন,মানবতার সেবা করেন,এতীমদের আশ্রয় দেন ।

খাদিজা (রঃ) প্রিয় নবীকে তাঁর চাচাত ভাই ওরাকা ইবনে নফলের কাছে নিয়ে গেলেন। ওরাকা ইবনে নওফেল ছিলেন ঈসায়ী ধর্মের আলেম এবং হিব্র“ ভাষার পন্ডিত ব্যক্তি।সে সময় তিনি বয়সের বারে ক্লান্ত এবং দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছিলেন। হযরত খাদীজা (রঃ) বললেন ভাইজান,আপনার ভাতিজার কথা শুনুন।রাসূল (সঃ) তাকে হেরা গুহার সব ঘটনার কথা বর্ণনা করলেন। শুনে ওরাকা বললেন, তিনি সেই দৃত জীবরাঈল (আঃ),যিনি হযরত মুসা (আঃ) এর কাছে ওহী নিয়ে আসতেন । হায় আমি যদি সেই সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারতাম যখন তোমার কওমের লোকেরা তোমাকে জন্মভূমি তেকে বের করে দিবে। রাসূল (সঃ) অভাগ হয়ে বললেন,কেন আমাকে তারা মাতৃভূমি থেকে বের করে দিবে?ওরাকা বললেন,তুমি যে ওহী লাভ করেছ,এ ধরণের ওহী যখনই কোন নবী পেয়েছেন তাঁর সাথে এভাবেই স্বজাতির পক্ষ থেকে শত্রুতা করা হয়েছে।যদি আমি সেদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকি তাহলে অবশ্যই আমি তোমার সাহায্যে এগিয়ে আসব।

কোরআন লিপিবদ্ধকরণ
যখন থেকে কুরআন নাযিল শুরু হয়,সেদিন থেকেই আল্লাহ রাসূল তা লিপিবদ্ধ করে রাখার জন্য পারদর্শী সাহাবীদের নিযুক্ত করেন।হযরত যায়দ বিন সাবেত (রঃ) ছাড়া আরো ৪২ জন সাহাবী এ কাজে নিযুক্ত ছিলেন । এ সম্পর্কে রাসূল (সঃ) বলেন, তোমরা আমার কাছে কোরআন ছাড়া অন্য কিছু লেখো না।

কোরআনে বিভিন্ন পরিসংখ্যান
পবিত্র কোরআনে মোট ১১৪ টি সূরা রয়েছে,প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর (রঃ) এর যুগে হযরত যায়দ ইবনে সাবেত (রঃ) এ সংখ্যা নির্ণয় করেন। কোন কোন সূরার আয়াত সম্বলিত তথ্য রাসূল (সঃ) এর যুগেই পাওয়া যায়।যেমন সূরা ফাতেহার ৭ এর আয়াত-এর যে কথা বলা হয়েছে তা রাসূল (সঃ) নিজেই বলেছেন । সূরা মূলক এত্রিশ আয়াতের কথাও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।কোরআনে ‘বিছমিল্লাহ’ নেই এমন সূরা হচ্ছে ‘সূরা আত তাওবা ‘ দুইবার ‘বিছমিল্লাহ’ আছে এমন সূরা হচ্ছে সূরা আল নামল’ ।নয়টি মীম অক্ষর সম্বলিত সূরা হচ্ছে সূরা কাফেরূন,কোন মীম নেই যে সূরায় ‘সূরা আল কাওসার’ ।কোরআনে উল্লেখিত কোআনের নাম ৫৫ টি। কোরআনে প্রথম যাঁর মাধ্রমে এসেছে তিনি হচ্ছেন হযরত জিবরাঈল (আঃ),কোরআনে ভাব্যবান যে সাহাবীর নাম আছে তিনি হচ্ছেন হযরত যায়দ (রঃ) ।কোরআন লোয়াতের সেজদার সংখ্যা ১৪ টি সর্বসম্মত (মত পার্থক্যে ১৫)।

কোরআনের প্রথম মুফাসসের হচ্ছেন আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রঃ) । কোরআনের প্রথম সংকলন হচ্ছেন হযরত ওসমান গণী (রঃ)। কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক হচ্ছেন মাওলানা আমীর উদ্দীন বসুনিয়া। নিচে কয়েকজন বিশিষ্ঠ ওহী লেখকের নাম দেয়া হল।

১. হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ)
২. হযরত ওমর বিন থাত্তাব (রঃ)
৩. হযরত ওসমান গণি বিন আফফান (রঃ)
৪. হযরত আলী বিন আবি তালেব (রঃ)
৫. হযরত যায়দ বিন সাবেত (রঃ)
৬. হযরত আবদুল্লাহ বিন সা’দ (রঃ)
৭. হযরত যোবায়ের বিন আওয়াম (রঃ)
৮. হযরত খালেদ বিন সা’দ (রঃ)
৯. হযরত হানযালা বিন রাবী (রঃ)
১০.হযরত খালেদ বিন ওয়ালীদ (রঃ)
১১.হযরত আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রঃ)
১২.হযরত মোহাম্মদ বিন মাসলামা (রঃ)
১৩.হযরত আবদুল্লাহ বিন সালুল (রঃ)
১৪.হযরত মুগীরা বিন শোবা (রঃ)
১৫.হযরত মোয়াবিয়া বিন আবি সুফিয়ান (রঃ)
১৬.হযরত আমর ইবনুল আস (রঃ)কোরআন মুদ্রণের ইতিহাস
১৭.হযরত জাহম ইবনুস সালত (রঃ)
১৮.হযরত শোরাহবিল বিন হাসান (রঃ)
১৯.হযরত আবদুল্লাহ বিন আরকাম আয যুহরী (রঃ)
২০.হযরত সাবেত বিন কায়স (রঃ)
২১.হযরত হোয়ায়ফা বিন আল ইয়ামান (রঃ)
২২.হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রঃ)
২৩.হযরত আবদুল্লাহ বিন যোবয়র (রঃ)
২৪.হযরত আবান বিন সায়ীদ (রঃ)

মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত কোরআন শরীফ হাতেই লেখা হতো । প্রত্যেক যুগেই এমন কিছু নিবেদিত প্রাণ কোরআনের ‘কাতেব’ মজুদ ছিলেন যাঁদের একমাত্র কাজ ছিল কোরআন শরীফ লেখা । কোরআনের প্রতিটি অক্ষরকে সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করার লক্ষে এটি নিঃসন্দেহে একটি নযীরবিহীন ঘটনা । মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের পর ইউরোপের হামবুর্গ নামক স্থানে হিজরী ১১১৩ সনে সর্বপ্রথম কোরআন শরীফ মুদ্রীত হয়।মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম মাওলানা ওসমান রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে কোরআন মুদ্রণের কাজ করেন।প্রায় একই সময় কাযান শহর থেকেও কোরআনের একটি নোসখা মুদ্রিত হয়। ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের তেহরানে লিথো মুদ্রণ যন্ত্রে প্রথম কোরআন শরীফের একটি কপি মুদ্রিত হয়।এরপর আস্তে আস্তে দুনিয়ার অন্যান্য এলাকাতেও ব্যাপকবাবে ছাপাখানার মাধ্যমে কোরআন মুদ্রণের নেওয়াজ চালু হতে থাকে।মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কারের আগে কোরআনের আয়াতসমূহ সাধারণত পাথর,শিলা,শুকনা চামড়া,খেজুর গাছের শাখা, বাঁশের টুকরা,গাছের পাতা এবং পশুর চামড়ার উপর লেখা হতো ।

কোরআনের শব্দ সংখ্যা
সাহাবায়ে কেরামরা তাদের যুগে কোরআনের শব্দ সংখ্যাও নির্ণয় করেছেন। অবশ্য এ সম্পর্কে সরাসরি তাদের সাথে সম্পৃক্ত কোন রেওয়াত পাওয়া যায় না। যা কিছু আছে সবই পরবর্তীকালের । হুমাদা আযরাজের গণণা অনুযায়ী ৭৬৪৩০ আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ গণণা মোতাবেক ৭০৪৩৯ মোজাহেদের গণনা মোতাবেগ ৭৬২৫০ তবে যে সংখ্যাটি সাধারণভাবে প্রসিদ্ধ লাভ করছে তা হচ্ছে ৮৬৪৩০ ।

কোরআনের আয়াত সংখ্যা
হযরত আশো (রঃ) এর মতে ৬৬৬৬ হযরত ওসমান (রঃ) এর মতে ৬২৩৬ হযরত ইবনে মাসউদ (রঃ) এর মতে ৬২১৮ মক্কার গণণা মতে ৬২১২ বসরার গণণা মতে ৬২২৬ইরাকের গণণা মতে৬২১৪।ঐতিহাসিকদের মতে হযরত আয়েশা (রঃ) এ গণণাই বেশি প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।

বিষয়ভিত্তিক আয়াত
জান্নাতের ওয়াদা ১০০০, জাহান্নামের ভয় ১০০০, নিষেধ ১০০০, আদেশ ১০০০, উদাহারণ ১০০০, কাহিণী ১০০০, হারাম ২৫০, হালাল ২৫০, আল্লাহর পবিত্রতা ১০০, বিবিধ ৬৬ ।

মনযিল ও এর বিভক্তিকরণ
মনযিল কিভাবে এল তার আলোচনা প্রসংগে অনেকেই এই ঘটনাটি উল্লেখ করেন। আবু দাউদ,ইবনে মাজাহ ও মোসনাদে আহমদ এর বর্ণনা অনুযায়ী একদিন বণী সাফাবী গোত্রের এক প্রতিনিধি দল রাসূল (সঃ) এর খেদমতে হাযির হলে রাসূল (সঃ)এর তাদের কাছে আসতে কিছু বিলম্ব হয়। এই দেরী হয়ার কারণ উল্লেখ করে রাসূল (সঃ) বলেন,আমি কোরআন তেলোয়াতে ছিলাম, আজকের দিনে নির্ধারিত অংশ পুরো করতে একটু দেরী হয়ে গেছে। প্রথম মনযিল সূরা আল ফাতেহা থেকে সূরা আন নিসা, দ্বিতীয় মনযিল সূরা আল মায়েদাহ থেকে সূরা আত তাওবা, তৃতীয় মনযিল সূরা ইউনুস থেকে সূরা আন নাহল, চতুর্থ মনযিল সূরা বনী ইসরাঈল থেকে সূরা আল ফোরকান,পঞ্চম মনযিল সূরা আশ শোয়াবা থেকে সূরা ইয়াসীন,ষষ্ঠ মনযিল সূরা সূরা আস সাফফাত থেকে সূরা আল হুজুরাত,সপ্তম মনযিল সূরা ক্বাফ থেকে সূরা আন নাস পর্যন্ত ।

কোরআনে বর্ণিত দশজন মহিলা

কোরআনে যেভাবে এসেছে ——— সূরার নাম

১.আয়েশার বর্ণনা কোরআনে এসেছে সূরা আন নুর
(তবে তার নাম উল্লেখ করে নাই)

২.উম্মে মুসা সূরা আল কাছাছ

৩.উখতে মুসা সূরা আল কাছাছ

৪.ইমরাতে ফেরাউন সূরা আল কাছাছ

৫.ইমরাতে ইমরান সূরা আলে ইমরান

৬.ইমরাতে ইব্রাহীম সূরা হুদ,সূরা আয যারিয়াত

৭.ইমরাতুহুতে সূরা লাহাব

৮.ইমরাতাইনে সূরা আন নামল

৯.ইমরাত সূরা আন নামল

১০. ইমরাতুল আযীয সূরা ইউসুফ

কোরআনে উল্লেখিত ধ্বংশপ্রাপ্ত জাতিসমূহ
১.আদ
২. সামুদ
৩. লুত
৪. সাবা
৫. তুব্বা
৬. নূহ
৭. বনী ইসরাঈল
৮. আসহাবে কাহাবের সাথে সংশ্লিষ্ঠ জাতি
৯. আসহাবুল সাবত
১০. আসহাবুল কারিয়াহ
১১. আসহাবুল আইকা
১২. আসহাবুল উখদুদ
১৩. আসহাবুল রাস
১৪. আসহাবুল ফিল।

সূত্র আমাদেরসময়






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *