Main Menu

লিবিয়ার উপকূলে বাংলাদেশিসহ নৌকাডুবি, ১৩ নিখোঁজ

লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে৷ ২২ জনকে উদ্ধার করা হলেও ১৩ জন এখনও নিখোঁজ বলে শুক্রবার জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা-আইওএম৷

উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা মিসর, বাংলাদেশে, সিরিয়া, সোমালিয়া এবং ঘানার নাগরিক৷ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা৷ এদের মধ্যে সিরিয়ার একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন৷ আইওএম জানিয়েছে, নিখোঁজ ১৩ জন সমুদ্রে ডুবে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

লিবিয়ার কোস্ট গার্ড তাদের সদস্যদের উদ্ধার কাজে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তাদের ধারণা৷ বার্তা সংস্থা এপিকে বাহিনীর কমোডোর মাসুদ আব্দাল সামাদ বলেন, এই পথটি দিয়ে অসংখ্য নৌকা যাচ্ছে৷ তবে শরতে সমুদ্র পাড়ি দেয়া বিপদজনক৷ বাতাসের কারণে যেকোন সময়ে নৌকাডুবি ও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে৷

সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে অভিবাসীদের মধ্যে৷ মানব পাচারকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ ছোট রাবারের নৌকায় তুলে সমুদ্রে ছেড়ে দিচ্ছেন তাদেরকে৷ আইওএম এর তথ্য অনুযায়ী, এভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷

এদিকে শুক্রবারের দুর্ঘটনায় উদ্ধারকৃতদের ত্রিপলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সেখানে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইওএম এর মুখপাত্র সাফা মিসাহলি৷
বর্তমানে তারা ত্রিপলি ভিত্তিক সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্লিটেন বন্দিশিবিরে রয়েছেন৷

সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের শিবিরগুলোতে নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায় ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে৷

বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধা সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত বন্দিশিবিরগুলোতে কয়েক হাজার অভিবাসী জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন৷

গত মে মাসে লিবিয়ার মানব পাচারকারী এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা গুলি করে ৩০ অভিবাসীকে হত্যা করেন৷ যার মধ্যে ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি৷ ২৫ জুন ৬৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করে ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘এসওএস মেডিটেরানে’র জাহাজ ওশান ভাইকিং৷ কাঠের নৌকায় করে তারা লিবিয়া থেকে ইটালিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও সুদানি, পাকিস্তানি, মরোক্কান ও মিসরীয় নাগরিক ছিলেন৷

ডয়চে ভেলে






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *