Main Menu

একুশে পদক প্রাপ্ত মরহুম আব্দুল জব্বারের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, দলের দূর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর সহচর বা স্নেহধন্যদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদেরকে ও তাদের পরিবারকে সম্মানিত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মরোনত্তোর একুশে পদকপ্রাপ্ত মরহুম আব্দুল জব্বারের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আব্দুল জব্বারের মতো সৎ, নির্ভিক, কর্মিবান্ধব ও নি:স্বার্থ একজন কর্মিকে মরনোত্তর একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আব্দুল জব্বার রাজনীতি করেছেন লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে। তিনি গণমানুষের নেতা ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর সিলেটে গণমানুষের স্বার্থহীন ও পরোপকারী দুই নেতা ছিলেন, একজন পীর হাবিবুর রহমান আর একজন মরহুম আব্দুল জব্বার। ড. মোমেন আব্দুল জব্বারের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৬২ সালে তাঁর সাথে আমার সম্পর্ক হয়। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আব্দুল জব্বার একজন খাটি কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে তিনি কিশোর বয়সে রাজনীতিতে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধুর এই স্নেহধন্যদের এই নেতা জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতে কাজ করে গেছেন। যিনি ১৯ বছর বয়সে কুলাউড়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হন এবং এই পদে থেকেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রী আব্দুল জব্বারকে নিয়ে দেওয়ান ফরিদ গাজীর স্মৃতিচারণ লেখার কিছু অংশ পাঠ করেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ফজলুর রহমান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চেীধুরী, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সিলেট বিএনএ’র সভাপতি অধ্যাপক রুকন উদ্দিন, ছাতক উপজেলার চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান মোমিন চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকার, উপ-দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, সিলেট জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম উদ্দিন সেলিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক কামাল হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, কুলাউড়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা চৌধুরী পপি, কুলাউড়া যুবলীগের সভাপতি আব্দুস শহীদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মঈনুল ইসলাম সবুজ, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এনামুল হক মিসবাহ, কুলাউড়ার বাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মবরুর হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আবদুল জব্বার (১৯৪৫-১৯৯২) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধু স্নেহধন্য ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠক ১৯৯২ সালে ২৮ আগস্ট শোকের মাসে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারে তাকে ২০২০ সালে মরনোত্তর একুশে পদক প্রদান করে। আব্দুল জব্বার বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার আলালপুর গ্রামে ১৯৪৫ সালে ১৭ নভেম্বর জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল জব্বার এবং মাতা মরহুম সমিতা বানু।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *