Main Menu

ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন ফিলিস্তিনের

অনলাইন ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সুরক্ষা সহযোগিতাসহ সব সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শনিবার কায়রোতে আরব লীগের বৈঠকে এই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। খবর এএফপির।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ও ইসরায়েলের সুবিধাসম্বলিত বিতর্কিত শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এই পরিকল্পনা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা।

তবে শুরু থেকেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। আরব লীগও জরুরি বৈঠক ডেকে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরব লীগের বৈঠকে দেয়া ভাষণে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘ফিলিস্তিন অঞ্চলে ক্ষমতা দখলের জন্য ইসরায়েলকে দায় নিতে হবে। আমরা আপনাদের (আরব লীগ) অবহিত করছি যে সুরক্ষা সহযোগিতাসহ ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিস্তিনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’

গত মঙ্গলবার শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করে ট্রাম্প দাবি করেন, তার পরিকল্পনা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দুই দলের জন্যেই সুবর্ণ সুযোগ। দুই রাষ্ট্রের জন্যই এটি একটি বাস্তববাদী সমাধান, যা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্ব ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা দুটিই রক্ষা করবে।

ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের অংশকে সার্বভৌম বলে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ওই অঞ্চলের একটি খসড়া মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি এ মানচিত্র অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের অঞ্চল আকারে আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। পাশাপাশি পূর্ব জেরুজালেমে হবে ফিলিস্তিনের রাজধানী। সেখানে একটি মার্কিন দূতাবাসও প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি আরও দাবি করেন, তার এ পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘নিজস্ব একটি স্বাধীন রাষ্ট্র’ অর্জনের সুযোগ। তবে কীভাবে তা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলিকে তাদের ঘর থেকে উচ্ছেদ করা হবে না’। তার মানে পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলিদের সরানো হবে না।

ইহুদিদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ ও মুসলিমদের কাছে আল-হারাম আল-শরীফ হিসেবে পরিচিত পবিত্র ভূমি জেরুজালেম পরিচালনায় জর্ডানের রাজার সঙ্গে কাজ করবে ইসরায়েল। প্রসঙ্গত, ওই অঞ্চল পরিচালনায় ধর্মীয় ট্রাস্ট চালায় জর্ডান।

ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দ অঞ্চল নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চার বছর আলোচনা করতে পারবে ফিলিস্তিন। ওই চার বছর ফিলিস্তিনিরা এ পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা ও ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে পারবে। এভাবেই ফিলিস্তিনিরা অর্জন করবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *