Main Menu

সিলেটে ভূমিকম্পের জন্যে ৫টি সক্রিয় চ্যুতি (ফল্ট ) রয়েছে, প্রতিমন্ত্রী এনাম

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘ভূমিকম্প হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার পূর্ভাবাস দেওয়ার উপায় এখনও বের হয়নি। ‘ভূমিকম্প ঠেকানোরও কোনো উপায় নেই। তবে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতি আমরা চাইলেই কমিয়ে আনতে পারি।

তিনি বলেন, ১০ রিকটার স্কেলে ভূকিম্প হলেও যাতে কোনো মানুষ না মরে, কোনো ভবন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এইরকম প্রস্তুতি আমাদের নিতে হবে। এটা সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছে জাপান। জাপান এখন ভূকিম্পসহনীয় দেশে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সিলেটে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ক অবহিতকরণ সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিনের সভাপতিত্বে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভায় সিলেটের জনপ্রতিনিধিগণ, প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাগণ, বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবদসহ বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

গত ২৯ এবং ৩০ মে সিলেটে ৫ দফা এবং ৭ জুন আবারও ২ দফা ভূমিকম্প হয় সিলেটে। এতে আগে থেকেই ঝুঁকিতে থাকা সিলেট অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভূমিকম্প আতঙ্ক দেখা দেয়।

দফায় দফায় এই ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই সভার আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এতে সহযোগীতা করে সিলেট জেলা প্রশাসন ও জাইকা। আর ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান, সিলেটে ঘনঘন ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট দেশের সবচেয়ে ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানে ৫টি সক্রিয় চ্যুতি (ফল্ট ) রয়েছে। এ কারণে সিলেটকে ঘিরে আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এখানে নকশা অনুমোদন ছাড়া কোনো ভবন যাতে গড়ে না উঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর যেভবনগুলো ইতোমধ্যে নির্মিত হয়ে গেছে সেগুলো ‘ভূমিকম্প সহনীয় কি না তা পরীক্ষা করাতে হবে। যেগুলো ভূমিকম্পসহনীয় না সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের সচেষ্ট হতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে জাপানি প্রতিষ্ঠান জাইকা আমাদের সহযোগিতা করবে। ইতোমধ্যে আমরা ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় অনেক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। ফায়ার সার্ভিস ও সশস্ত্রবাহিনীকে অনেক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। ফলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে আমাদের সতর্ক হতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন, আবহাওয়া অফিসের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ, সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মিজান, গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, বুয়েটের অধ্যাপক তাহমিন এন হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জহির বিন আলম ও আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শারমিন রেজা চৌধুরী, জাইকার প্রতিনিধি নাওকি মাথসুমুরা প্রমুখ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *