ধ্বংসস্তুপ থেকেই জাগছে গাজা

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন শেষ হওয়ার ১০ দিন পার হয়েছে। এর মধ্যেই ইসরাইলের সর্বাত্মক অবরোধে থাকা এই ভূখণ্ডে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।
গাজা শহরের রেমাল মহল্লায় মোহাম্মদ সাইদ আল-সুসি এক রেস্টুরেন্ট চালিয়ে আসছেন। ইসরাইলি বিমান হামলায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে তার রেস্টুরেন্ট। কিন্তু বিধ্বস্ত এই রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করে আগের মতো আবার খাবার তৈরি ও পরিবেশন শুরু করেছেন তিনি।
মোহাম্মদ জানান, তারা পাঁচ ভাই মিলে এই রেস্টুরেন্ট চালান। তাদের বাবা ১৯৭৫ সালে এই রেস্টুরেন্ট প্রথম চালু করেন।
ইসরাইল গত ১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত টানা ১১ দিন গাজায় বিমান হামলা চালায়। বিমান হামলায় গাজার আরো কয়েকটি স্থাপনার মতোই মোহাম্মদের রেস্টুরেন্ট বিধ্বস্ত হয়।
মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রথম আক্রমণে অর্ধেক ভবন ধ্বসে পরে। আমি দৌড়ে আমার রেস্টুরেন্ট দেখতে যাই। দ্বিতীয় আঘাতের পর পুরো ভবন মাটির সাথে মিশে যায়। আমার পায়ে দুইটি শার্পনেল আঘাত করে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ ও করোনার মহামারীর আগে আমাদের ব্যবসার বেশ প্রসার হচ্ছিল। ১২ জন লোক এখানে কাজ করতো এবং ১২টি পরিবার আমাদের উপার্জিত আয়ের ওপর চলতো।’
করোনা মহামারীতে লকডাউনের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তবুও তারা ইতিবাচক থাকার চিন্তা করে নতুন ভাবে রেস্টুরেন্টটি সাজান বলে জানান মোহাম্মদ।
কিন্তু ইসরাইলের হামলায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়।
তবে এর জন্য হার মানতে নারাজ মোহাম্মদ। ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করে পুরো দমে আবার রেস্টুরেন্ট চালু করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শুধু বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই আমরা ফিরে আসিনি, বরং আমরা লজ্জ্বিত হতে অস্বীকার করেছি। আমরা আমাদের পথে দৃঢ় থাকবো।’
সূত্র : ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম
Related News

বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না: শাম্মি আক্তার
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয়Read More

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে মায়ানমারের শত শত সেনা ও বেসামরিক নাগরিক
মায়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত যোদ্ধাদের হামলার পর শনিবার ৫৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক ওRead More