Main Menu

করোনাকালে একজন মানুষও অনাহারে মরেনি: সিলেটে তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনেকেই বলেছিলো করোনার সময়ে দেশে হাজার হাজার মানুষ মরে যাবে। বলা হয়েছিলো রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- একজন মানুষও অনাহারে মরেনি। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে যে কটি দেশে সবচেয়ে কম তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.২৫ থেকে ১.৩ শতাংশ। যা ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম। করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর গত সাড়ে পাঁচ মাসে প্রধানমন্ত্রী একদিনও বিশ্রাম নেননি। করোনা মোকাবেলায় তিনি যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা অতুলনীয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রণোদনার চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এই স্তম্ভ তৈরি করেন সাংবাদিকরা। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করছে। এই করোনাকালেও সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। আমরা দলমত নির্বিশেষে যারা সংকটে আছেন তাদের সকলকে প্রণোদনা দিচ্ছি। এমনকি ভারত-পাকিস্তানেও সাংবাদিকদের এভাবে সরকার প্রণোদনা দেয়নি।

করোনাকালে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া করোনা সংকটকালে গণমাধ্যম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি বলেন, সমালোচনা থাকবে। না হলে বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার মনে করে, সমালোচনা পথচলাকালে শাণিত করে। কিন্তু সমালোচনা হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ। সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য। অন্ধের মতো একপেশে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে দশেকে একদা তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিলো সেই দেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে এখন কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ পাওয়া যায় না, স্যান্ডেল ছাড়া মানুষ পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। দেশ বদলে গেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছিলো, যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল। আজকেও যারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারাও ষড়যন্ত্র করছে। এই দুষ্টচক্র, যারা দেশের বিরুদ্ধে, অর্থনীতির বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, সাংবাদিকতা নামক মহান পেশার লোকজনের দৈন্যদশার কথা উপলব্ধি করে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন। এর ও আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট। সেই প্রেস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের কোন দেশ এখনো গণমাধ্যম কর্মীদের কোন সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে আজ প্রমান করেছেন তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের পরম বন্ধু।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও তথ্য অফিসের বিভাগীয় উপ পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলির সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।

আলোচনা পর্ব শেষে সিলেট বিভাগের শতাধিক সাংবাদিকের মধ্যে প্রণোদনার চেক বিতরণ করেন মন্ত্রী।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *