ইবোলার ওষুধে বাজিমাত: করোনামুক্ত ১৪ বছরের কিশোর

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিশোরের জীবন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছিলেন তার মা। এরই মধ্যে ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহারের ব্যবস্থাপত্র দেন চিকিৎসকরা। এতে করে কিশোরের মা আরো চিন্তায় পড়ে যান। জানা গেছে, ১৪ বছরের ছেলে জ্যাকব করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে কষ্টে ভুগতে থাকলে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন তার মা ড্যানি টায়েল।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তারা দু’জনেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ভর্তি হন। সাধারণ চিকিৎসায় তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। এরই মধ্যে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, কিশোরকে রেমডেসিভির দেবেন। গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হসপিটালের চিকিৎসকরা তাকে শেষ পর্যন্ত রেমডেসিভির দেন। ইবোলা ভাইরাসের এই ওষুধ তার শরীরে কাজ করে।
ওষুধটি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহারের ব্যাপারে মানুষে পরীক্ষা অব্যাহত আছে। কিন্তু এখনই সেটি চূড়ান্ত হয়নি। কিশোরের মা ড্যানি টায়েল বলেন, আমার ছেলের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। সে কারণে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা রেমডেসিভির ব্যবহার করেছে।
তিনি আরো বলেন, যখন ছেলেকে একটি হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলো, তখন মনে হয়েছিল, এবার মনে হয় ছেলেকে হারাতে হবে। কিন্তু ১২-১৩ ঘণ্টা পর যখন রেমডেসিভির ব্যবহারের ব্যাপারে চিকিৎসকরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করল, তখন কিছুটা ভরসা পেলাম।
যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা গেছে, রেমডেসিভির ব্যবহারের চারদিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তবে হার্টের সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির বিপজ্জনক। যুক্তরাজ্যেও রেমডেসিভির নিয়ে গবেষণা চলছে। সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল।
Related News

বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না: শাম্মি আক্তার
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয়Read More

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে মায়ানমারের শত শত সেনা ও বেসামরিক নাগরিক
মায়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত যোদ্ধাদের হামলার পর শনিবার ৫৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক ওRead More