দেশে করোনা সংক্রমণে ১৯৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১ হাজার ৬৫১ জন
দেশে করোনায় আবারও একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১১ হাজার ৬৫১ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে গতকাল (৭ জুলাই) শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ১৬২ জন, আর তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৫২৫ জন; যা গতকাল পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল। টানা তিন দিন ধরে শনাক্ত ১১ হাজারের বেশি।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ দেশে সর্বোচ্চ শনাক্তের পাশাপাশি ১৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছে। যা দেশের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গতকাল ৭ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২০১ জন মারা গিয়েছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আজ নতুন শনাক্ত হওয়া ১১ হাজার ৬৫১ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে শনাক্ত হলেন ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জন। আর মারা যাওয়া ১৯৯ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১৫ হাজার ৭৯২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৪৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন আট লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৮ হাজার ২৪টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ লাখ ২১ হাজার ২২১টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে পুরুষ মারা গেছেন ১৩৩ জন, আর নারী ৬৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার ১৩৫ জন এবং নারী মারা গেলেন চার হাজার ৬৫৭ জন।
তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১০৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নয় জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে দুই জন।
মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫ জন, খুলনা বিভাগের ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগের তিন জন, সিলেট বিভাগের পাঁচ জন, রংপুর বিভাগের ৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ১০ জন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১২ জন।
Related News
সমন্বয়কদের বৈঠক শেষে হাসনাত: উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই ছাত্রদের মতামত নিতে হবে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। তাইRead More
পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূুসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্যRead More