Main Menu

কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ করায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অ্যানুয়াল পারফর্মেন্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ)-২০২০ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেন, কিন্তু দেশে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকার প্রাথমিক কাজগুলো যথাযথ সময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের এটা মাথায় রাখতে হবে যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়জিত ব্যক্তিরা এ সময়ে অলসভাবে বসে নেই, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা কর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থার সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এই প্রাণঘাতী রোগের মোকাবেলা করেছে এবং সংকটকালে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে।
করোনাকালে ছাত্র সমাজের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহামারীতে তাদের লেখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই মহামারীর কারণে থমকে গেছে এবং বিশ্বব্যাপী মানুষ এর জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে উন্নয়ন কার্যক্রমের গতি মন্থর হয়ে গেছে। আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে বাধা আসবেই। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমাদের এটা অতিক্রম করতে হবে এবং এটা মেনে নিয়েই কাজ করে যেতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তাই, এদেশে দুর্যোগ আসবে। কিন্তু আমরা এই সব প্রতিকূলতা ও বিপর্যয় মোকাবেলা করেই সামনে এগিয়েছি।’
সরকার করোনাকালে বেশ কয়েকটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যার পরিমাণ দেশের জিডিপি’র ৪ শতাংশের বেশি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের আগে বিশ্বের অন্য কোন দেশ এ ধরণের প্যাকেজ ঘোষণা করেনি এবং এ জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রণোদনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ ছাড়ে হস্ত প্রসারিত করেছি। এ কারণেই আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে তাদের নির্বাচনী ইশতিহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সরকার এখন সেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তাদের কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
এই লক্ষ্য অর্জনে শেখ হাসিনা সকলকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অর্জন ও অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকবে এবং আমরা আর পিছনে ফিরে যাব না। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলব। আর এই লক্ষ্য পূরণে আমি সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যারা সফলভাবে এপিএ সম্পন্ন করেছে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে তারা চমৎকার কাজ করেছে, বিশ্বের দরবারে এটি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এপিএ বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবগণের কাছে তাদের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ক্রেস্ট ও সনদ হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *