মোংলা বন্দরে ৭২৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙরের রেকর্ড

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা। এই বন্দরে গত সাড়ে ১০ মাসে রেকর্ড ৭২৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন যে, ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ১৩ মে, ২০২৫ পর্যন্ত, বন্দরটি ৯৩ দশমিক ২৭ লাখ টনেরও বেশি পণ্য পরিবহন করেছে এবং ১০ হাজার ৩৭৪টি রিকন্ডিশনড কার (গাড়ি) আমদানি করেছে।
বর্তমানে, দু’টি জাহাজ পণ্যবাহী কন্টেইনার খালাসের জন্য বন্দরের দুই জেটিতে নোঙর করা আছে।
মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ৭ দশমিক ২৫ মিটারের বেশি ড্রাফটের একটি ইন্দোনেশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি সেলাতান দামাই’ জেটি নং-৫-এ ৩২৪ টিইউইএস কন্টেইনার খালাসের জন্য নোঙর করা হয়। এবং ৬ নম্বর জেটিতে ৭ দশমিক ৪ মিটারের বেশি ড্রাফটের একটি রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি ফেসকো ওলগা’ ২ হাজার ১৯৫ টন মেশিনারি বা যন্ত্রপাতি খালাসের জন্য নোঙর করে।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ১৩ মে, ২০২৫ পর্যন্ত ১ লাখ টনেরও বেশি পণ্য পরিবহন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, বন্দরে জাহাজের আগমন আকর্ষণের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে রেকর্ড জাহাজ নোঙর করেছে।
এমপিএ’র চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন- খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ এবং এলপিজির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি সহজতর করে জাতীয় চাহিদা মেটাতে বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়াও, মোংলা বন্দর সাদা মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, ক্লে টাইলস, সিল্ক কাপড় এবং সাধারণ পণ্যসম্ভার সহ বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, মংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি এবং এটি লাখ-লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
Related News

সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজসেবায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আকবর আলীকে সাউথ এশিয়ান এক্সিলেন্স এর অ্যাওয়ার্ড প্রদান
সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃRead More

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরRead More