Main Menu

কম্বোডিয়াকে হারালো বাংলাদেশ

মহিলা সাফে সাবিনা খাতুনদের সাফল্য অবশ্যই চাপে ফেলে দিয়েছিল জামাল ভূঁইয়াদের। সাথে চাকরি ঝুঁকিতে ছিল কোচ হাভিয়ার কাবরেরারও। গত বছর সাফ এবং শ্রীলঙ্কার চার জাতি ফুটবলে ব্যর্থতার পর নতুন কোচের অধীনে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের দেখা নেই। এরই মধ্যে সাবিনারা জিতে আসে সাফ ট্রফি। ফলে ফিফা প্রীতি ম্যাচে জয়ে যে বাধ্যবাধকতা দাঁড়ায় সে মিশনে সফল জামাল ভূঁইয়ারা। গতকাল ফিফা প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১০ মাস পর বিজয়ের হাসি বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের। জাতীয় দল সর্বশেষ গত বছর ১৩ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার চার জাতি ফুটবলে ২-১ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৭৪ এ অবস্থান কম্বোডিয়ার। বাংলাদেশের (১৯২)। কালও র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার কোনো প্রমাণ রাজধানী নমপেনে বাংলাদেশ দলের সামনে দিতে পারেনি তারা। দূর থেকে কিছু শট আর কয়েকটি হাফ চান্স ছাড়াই ছিল অস্ত্র। বিপরীতে অ্যাওয়ে ম্যাচে যে ঢংয়ে খেলা উচিত সেই স্টাইলেই কাউন্টার অ্যাটাকে গোল আদায় করে নেয় কাবরেররা দল। বিপক্ষ রক্ষণভাগে সৃষ্ট বিশাল গ্যাপকে পুঁজি করেই ২৩ মিনিটে অতিথি দলটির এগিয়ে যাওয়া। স্ট্রাইকার মতিন মিয়ার আড়াআড়ি পাসে বক্সের বাইরে বল পান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন। এরপর ডান পায়ের তীব্র শটে পরাস্ত করেন কম্বোডিয়ান গোলরক্ষককে (১-০)।

এরপর ২৬ ৩১ ও ৪৫ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে কোনো প্রচেস্টাই লক্ষ্যে ছিল না। ৭৪ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুন এক সুযোগ পায়। কিন্তু কপাল মন্দ স্ট্রাইকার মতিন মিয়ার। বক্সের বাইরে বাম কোনা থেকে পোস্টে প্রচন্ড শট নেন মতিন। বল কম্বোডিয়ার শেষ প্রহরীকে পরাস্ত করলেও ক্রসবারে তা আঘাত হানায় দর্শনীয় গোল থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ ও মতিন মিয়া। ৭৬ মিনিটে জিকোর বাধায় প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারের হেড প্রচেস্টা ব্যর্থ। ৯১ মিনিটে সুমন রেজার বদলি হিসেবে মাঠে নামা সাজ্জাদের শট পোস্ট ঘেঁষে গেলে ১-০ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জামালরা। ২০১৯ সালেও বাংলাদেশ নমেপেনে ১-০-তে হারিয়েছিল কম্বোডিয়াকে। ১৯২-তে থাকা বাংলাদেশ যদি দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে ২৭ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে নেপালকেও হারাতে পারে তাহলে র‌্যাংকিংয়ে বড় সড় উন্নতি হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *