Main Menu

আনোয়ারার পুরস্কার গ্রহণ করলেন মেয়ে মুক্তি

 

অসুস্থতার কারণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’-এর আসরে উপস্থিত হতে পারেননি অভিনেত্রী আনোয়ারা। এবার তিনি আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। এ সময় তার পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন মেয়ে অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম মুক্তি।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার পক্ষে পুরস্কার বিতরণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে দিন দশেক আগে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল আনোয়ারাকে। দুদিন আগে বাসায় ফিরলেও ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না তিনি, চোখেও ভালো দেখছেন না।

আনোয়ারাকে মঞ্চে না দেখে কারণ জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। অভিনেত্রী অসুস্থ জানতে পেরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আনোয়ারা আসতে পারেনি। আমি জানতাম না যে আনোয়ারা অসুস্থ। শোনে খুব দুঃখ পেলাম। তার রোগ মুক্তি কামনা করি।’

আনোয়ারার যে কোনো সহযোগিতায় পাশে থাকার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার আনোয়ারার সঙ্গে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ এর পুরস্কার প্রাপ্ত ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩২ জনের নাম ঘোষণা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছে ‘গোর (দ্য গ্রেভ)’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্র।

গোর (দ্য গ্রেভ) যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন গাজী রাকায়েত ও ফরিদুর রেজা সাগর এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ প্রযোজক ছিলেন অঞ্জন চৌধুরী।

‘গোর’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন গাজী রাকায়েত।

‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সিয়াম আহমেদ সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন এবং ‘গোর’ চলচ্চিত্রের জন্য দীপান্বিতা মার্টিন ২০২০ সালের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির জন্য ফজলুর রহমান বাবু এবং ‘গণ্ডি’ ছবির জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অপর্ণা ঘোষ।

‘বীর’ ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান মিশা সওদাগর। ‘গণ্ডি’ ছবির জন্য সেরা শিশু শিল্পীর পুরস্কার জিতেছেন মুগ্ধতা মোর্শেদ ঋদ্ধি।

‘হৃদয় জুড়ে’ ছবিতে ‘বিশ্বাস যদি যায়রে’ গানের জন্য বেলাল খান শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন প্রয়াত মো. সাহিদুর রহমান।

সেরা গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী), এবং দিলশাদ নাহার কনা ও সোমনুর মনির কোনাল যৌথভাবে ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও ‘বীর’ চলচ্চিত্রে গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন।

সৈয়দ আশিক রহমান পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আড়ং’ শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন।

অন্যান্য পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন: কবির বকুল (সেরা গীতিকার), মো. মাহমুদুল হক ইমরান (সেরা সুরকার), গাজী রাকায়েত (গল্প), গাজী রাকায়েত (চিত্রনাট্যকার), ফখরুল আরেফিন খান (সংলাপ), শরিফুল ইসলাম(সম্পাদনা), উত্তম কুমার গুহ (সেরা শিল্প নির্দেশনা), পঙ্কজ পালিত এবং মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (সম্মিলিতভাবে সেরা চিত্রগ্রাহক), মো. শাহাদাত হাসান বাধন (সেরা শিশু শিল্পী বিভাগে বিশেষ পুরস্কার), কাজী সেলিম আহমেদ (সাউন্ড ডিজাইনার), এনামতারা বেগম (পোশাক) এবং মোহাম্মদ আলী বাবুল (মেকআপ)।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *