মডেল মৌকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১০ আগস্ট চারদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনে করা মামলায় তাকে আবারো পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমান তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরও আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনে করা মামলায় তাকে আবারো ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে প্রথমে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এদিকে পিয়াসার দেয়া তথ্যে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। পরে রাত ১টার দিকে মৌকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকেও ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
মৌকে আটকের পর ২ আগস্ট আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুই মডেলকে আটকের পর বাবর রোডে মৌয়ের বাসার নিচে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘তারা দুইজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আজ তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুইজনের বাসায় বিদেশী মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া যায়। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।’
‘উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন,’ বলেন হারুন-অর-রশীদ।
Related News
সিলেটে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
প্রথম আলো সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিল। আগামীতেও নীতিতে অটল থেকে প্রথম আলোর যাত্রাRead More
সাংবাদিকতায় পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে : চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল (বিপিসি)-র চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নRead More