Main Menu

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে মায়ানমারের শত শত সেনা ও বেসামরিক নাগরিক

মায়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত যোদ্ধাদের হামলার পর শনিবার ৫৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক ও সেনা সংঘাত থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে থাই সেনাবাহিনী।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। সেখানে জান্তা সরকার জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রপন্থী প্রতিরোধ বাহিনীর একটি জোটের সঙ্গে লড়াই করছে।

থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাইন রাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) হামলা চালায়।

মায়ানমারের সেনারা প্রতিরোধের চেষ্টা করে ও তাদের অবস্থান রক্ষার জন্য অস্ত্রের সাহায্যের আহ্বান জানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নতি স্বীকার করে।

থাই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মায়ানমারের ১০০ জন সেনা ও ৪৬৭ জন বেসামরিক নাগরিক শনিবার থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। থাই সামরিক বাহিনী ও পুলিশ তাদের নিরস্ত্র করে চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

এ ছাড়া বিদেশি সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে থাই বাহিনী পশ্চিমাঞ্চলীয় তাক প্রদেশের সীমান্তে টহল জোরদার করেছে।
কেএনএলএর রাজনৈতিক শাখার নেতা স থামাইন তুন নিশ্চিত করেছেন, সীমান্তের কাছে লড়াই হয়েছে এবং যৌথ বাহিনী সেনাবাহিনীর ‘কয়েকটি চৌকি’ দখল করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কিছু (মায়ানমার সেনা) আমাদের যৌথ বাহিনীতে যোগ দিয়েছে, তবে তাদের কিছু অংশ থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।’

কারেনের জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে সামরিক বাহিনীকে প্রতিরোধ করে আসছে।

এখন তারা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে জান্তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের ফলে বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে। দেশটির ৮১ হাজার শরণার্থী বর্তমানে থাইল্যান্ডে বসবাস করছে। মায়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী কারেন জনগোষ্ঠীর জন্য স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠায় কেএনএলএ কয়েক দশক ধরে লড়াই করছে।
সূত্র : এএফপি






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *