Main Menu

হজ ও ওমরাহ মেলা নভেম্বরে

চলতি বছরের ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক হজ ও ওমরাহ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় এই মেলার আয়োজক হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। সংগঠনটির সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম এ তথ্য জানান।

রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে পল্টনে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মেলা সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরআরএফ’র নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান হাব সভাপতি।

আগামী মৌসুমের হজ প্রসঙ্গে হাব সভাপতি বলেন, ‘নভেম্বর মাসে আগামী হজ মৌসুমের জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি হবে। চুক্তির ওপর নির্ভর করছে আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে কত জন হজ যাত্রী যেতে পারবেন। বয়স সীমা কত হবে, খরচ কত হবে। হজ চুক্তির আগে নিশ্চিতভাবে কোনও কিছু চূড়ান্ত বলা সম্ভব নয়।’

মেলার আয়োজন প্রসঙ্গে শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ হাজি প্রেরণকারী দেশ। ২০২৩ সালে আগের ধারাবাহিকতায় পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আশা করা যায়। হজ অনুষ্ঠানের অধিকাংশ বিষয়ে আইটি-নির্ভরতা এবং হজ অনুষ্ঠানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য অনেকাংশে পরিবর্তন হওয়ায়

হজের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে হজযাত্রীসহ বিভিন্ন এজেন্সিকে অবহিত করা প্রয়োজন। এ কারণে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সেমিনার থাকবে মেলায়। এই আয়োজনে সেমিনার ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রর্দশন করা হবে।’

হাব সভাপতি আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে হজ ও ওমরাহযাত্রীদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এর ফলে মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে। হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় আইসিটি-নির্ভরতা অতীতের চেয়ে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকে বাংলাদেশ ও সৌদি পর্বের আইটি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।’

হাব জানায়, মেলায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রকে ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হবে। আয়োজন স্থলে একটি আকর্ষণীয় ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন’ স্থাপন করা হবে। হজ ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর অবদানকে ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। ইনোভেশন জোনে হজযাত্রী এবং ওমরাহ পালনকারীদের প্রদত্ত পরিষেবাগুলো আপগ্রেড করার জন্য সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনী জোনে বিনিয়োগের সুযোগ, চুক্তি এবং চুক্তির বিষয়বস্তু এবং সম্মেলন ও প্রদর্শনী সম্পর্কিত বিষয় উপস্থাপন করা হবে। যোগাযোগ জোনে শিল্প পেশাদার, বিনিয়োগকারী এবং এজেন্সি ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক ম্যাচ মেকিংয়ের জন্য আয়োজন থাকবে। অর্জনের জোনে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সাফল্য এবং ভবিষ্যতের কর্মপন্থার ওপর আলোকপাত করা হবে। ট্রান্সফরমেশন জোনে দর্শকরা অতীতের হজ এবং ওমরাহ ভ্রমণের কথা স্মরণ করবেন এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে শিখবেন।

এ সময় হাব মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার, আরআরএফ সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *