অভিবাসী ‘সংকটে’ জরুরি অবস্থা ঘোষণা নিউ ইয়র্ক সিটির
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস অভিবাসীদের আগমনের ঘটনায় সৃষ্ট ‘সংকটের’ কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহরগুলো থেকে ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসী নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে টেক্সাস, আরিজোনা ও ফ্লোরিডার মতো রিপাবলিকান শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলো ডেমোক্র্যাটিক শাসিত অঙ্গরাজ্যে অভিবাসীদের পাঠাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নজিরবিহীন সংখ্যক অভিবাসীর জড়ো হওয়ার পর হোয়াইট হাউজের সঙ্গে রাজ্যগুলোর বিরোধের অংশ হিসেবে তারা অভিবাসীদের ডেমোক্র্যাটিক অঙ্গরাজ্যগুলোতে পাঠাচ্ছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, সেপ্টেম্বর থেকে গড়ে প্রতিদিন নিউ ইয়র্কে পাঁচ থেকে ছয়টি বাস অভিবাসীদের নিয়ে আসছে। শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা প্রতি পাঁচজনের একজন রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী।
তিনি বলেছেন, আগত অভিবাসীদের বেশিরভাগ পরিবারের সঙ্গে রয়েছে স্কুলগামী শিশু এবং তাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন।
অভিবাসীদের আগমনের ফলে এই অর্থবছরে নিউ ইয়র্ককে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করা লাগতে পারে। এই ব্যয় নির্বাহের জন্য মেয়র কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যের তহবিল থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
মেয়র অ্যাডামস বলেন, নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। আমিও ক্ষুব্ধ। আমরা এমনটি চাইনি। হাজারো শরণার্থীর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে কোনও চুক্তি হয়নি। অভিবাসীদের কারণে অগ্রাধিকার প্রকল্পে ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না শহর কর্তৃপক্ষ। আমাদের পক্ষে যা সম্ভব তা করা হচ্ছে। কিন্তু সহযোগিতার সামর্থ্যের শেষ সীমায় আমরা পৌঁছে যাচ্ছি।
সীমান্তবর্তী শহরগুলোর রিপাবলিকান কর্মকর্তারা বলছেন, অভিবাসীদের প্রবাহ কমাতে টেক্সাস, আরিজোনা ও ফ্লোরিডা থেকে অভিবাসীদের ডেমোক্র্যাটিক শহরগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা সীমিত করার অংশ এটি।
তারা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসীদের প্রবেশ কমাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনে প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগের অংশও এটি। এই বছর অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রমের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
শহরের ব্যয় কমাতে টেক্সাসের এল পাসো শহর থেকে অভিবাসীদের বিনামূল্যে নিউ ইয়র্ক সিটি ও শিকাগোতে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু এল পাসো থেকে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে নিউ ইয়র্কে পাঠানো হয়েছে। শহরটির কর্মকর্তারা বলছেন, অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় যাচ্ছে। গন্তব্য শহর সম্পর্কে তারা সমন্বয় করছেন মাত্র।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর নিউ ইয়র্কের মেয়র একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশের ফলে শহর কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের জন্য ব্যয় বাড়াতে পারবে।
Related News
মাস্ককে সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণRead More
পাকিস্তানে বরযাত্রীর গাড়ি নদীতে পড়ে নববধুসহ ১৪ জন নিহত
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়াম জেলায় বরযাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে গেলে নববধুসহ ১৪Read More