Main Menu

ন্যাপ বাস্তবায়নে প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার, মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, নতুন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)-এ চিহ্নিত ৮টি বিষয়ভিত্তিক এলাকায় ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করবো। তবে আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপক্ষীয় সমর্থন ছাড়া, জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন এবং অর্জন করা আমাদের পক্ষে কঠিন হবে। তাই আমরা যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।’

রবিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাক্ষাৎকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ প্রোগ্রামের সিনিয়র উপদেষ্টা আনা ব্যালান্স, জলবায়ু ও পরিবেশ টিমের টিম লিডার এলেক্স হারভেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। হালনাগাদ এনডিসি’তে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ১৫ শতাংশ থেকে ২১.৮৫ শতাংশ স্বাভাবিক স্তরের কম পরিমাণ নির্গমণ হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অপেক্ষায় রয়েছি।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কারিগরি ও গবেষণা ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *