Main Menu

মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর নাম কী হবে?

ঢাকাবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এমনটাই জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখন পর্যন্ত মেট্রোর লোগো, স্টেশনের বিভিন্ন নির্দেশনা থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি নানা কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু স্টেশনগুলোর নাম কী হবে? কোনও বিশেষ ব্যক্তি, স্থান বা অন্য কোনও নাম হবে কিনা তা নিয়ে জনমনে উঠেছে কৌতুহল। সূত্র বলছে, এলাকার বা মৌজার নামেই হবে স্টেশনের নাম। কোনও ব্যক্তির নামে নামকরণের পরিকল্পনা আপাতত নেই।

এই সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে, প্রকল্পের সব কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেট্রোরেল স্টেশনের নামকরণ হয় জায়গার নামে। ঢাকার মেট্রোরেল পথের স্টেশনগুলোর নামকরণ তাই সংশ্লিষ্ট জায়গার নামেই হবে।

কলকাতা মেট্রোর স্টেশনগুলো সাধারণত কিছু অঞ্চলের নামে এবং কিছু মনীষীদের নামে। কোনও কোনও স্টেশন নিকটবর্তী রাস্তা (মহাত্মা গান্ধী রোড), প্রাচীন নাম (শোভাবাজার-সুতানুটি) বা দ্রষ্টব্য স্থলগুলোর (রবীন্দ্র সদন, নেতাজি ভবন) নামেও চিহ্নিত। আবার প্যারিস মেট্রোর ধাঁচে বিভিন্ন মনীষী, শিল্পী, বিপ্লবী ও উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের নামেও স্টেশন উৎসর্গ করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে দু’দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।

এমআরটি-৬ এর চূড়ান্ত রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো— উত্তরা তৃতীয় ধাপ-পল্লবী-রোকেয়া সরণি ধরে চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত।

এ রুটের ১৭টি স্টেশন হচ্ছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে মেট্রোরেলের ইন্ট্রিগ্রেটেড পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে বলে গত ৭ জুলাই জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর এমডি এম এ এন সিদ্দিক। এরপর কিছুদিন যাত্রীবিহীন চলাচল এবং তারপর বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি।

গত ৩০ জুন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের চলমান কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ শতাংশের বেশি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এম এ এন সিদ্দিক জানান, মেট্রোরেলের প্রথম পর্যায়ের কাজ (উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত) ৯৩.৭৬ শতাংশ, আশুলিয়া সংলগ্ন অংশের ৭৭ শতাংশ, আরেক অংশের কাজ ৮১ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে।

প্রথম অংশ পরিচালনার জন্য নিযুক্ত জনশক্তির প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের প্রথম দিন থেকেই পুরোপুরি সেবা দিতে পারবে মেট্রোরেল।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *