বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা হতাশার
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০০ এর মধ্যে না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সব সূচকে উন্নতি করছে। কিন্তু, লেখাপড়ায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।
মঙ্গলবার ইউজিসি আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং দ্য পটেনশিয়াল অব সিউইডস ফর প্রমোটিং দ্যা ব্লু ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া সমুদ্র সম্পদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন ড. শামসুল আলম। এ মন্ত্রণালয়ের নাম ‘মিনিস্ট্রি অব সি-রিসোর্সেস’ হতে পারে বলেও মত দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর ঘিরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে। এর আর্থ-সামাজিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। দেশের সমুদ্র সম্পদের সমন্বয় সাধন, পূর্ণ মনোযোগ দেয়া বা সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি মন্ত্রণালয় স্থাপন প্রয়োজন। এ মন্ত্রণালয়ের নাম ‘মিনিস্ট্রি অব সি-রিসোর্সেস’ হতে পারে।
ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের সমুদ্রসীমায় কী পরিমাণ প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদ রয়েছে সেটি সুনির্দিষ্ট এবং এ কাজে গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন। সিউইডস মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, পুষ্টির যোগানও দেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, বিশাল সমুদ্র অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। সি উইডসসহ সমুদ্র সম্পদের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা প্রকল্পের বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে যথাযথ অর্থায়ন করা হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে গবেষণা পুল তৈরি করে গবেষণা প্রকল্প জমা দেয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সমুদ্র বিজয়’ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন; কিন্তু সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে বিজয়ের অর্জন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারবে না।
কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে সি উইড পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশাল সমুদ্রের উপকূলে মানুষের জন্য বিকল্প আয়ের উৎস হতে পারে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ।
সেমিনারে সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং রিসার্চ সাপোর্ট ও পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও গবেষক, স্বনামখ্যাত শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও শিল্পোদ্যোক্তা, ইউজিসির কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
Related News
সমন্বয়কদের বৈঠক শেষে হাসনাত: উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই ছাত্রদের মতামত নিতে হবে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। তাইRead More
পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূুসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্যRead More