‘‘কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সাথে সূচনা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে উত্তম অনুশীলন প্রদর্শনী”
সিলেট জেলার সদর উপজেলায় খাদিমপাড়া ইউনিয়ন এর দলই পাড়া গ্রামে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সাথে সূচনা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে উত্তম অনুশীল নপ্রদর্শনী অনুষ্টিত হয়েছে। সূচনা কার্যক্রমের ভিলেজ মডেল ফার্ম, বাড়ি পরিদর্শন, কিশোরী দলের সেশন পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে উত্তম অনুশীলন প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শুরু হয়।
ইউকে এইড ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর আর্থিক সহযোগিতায় এফআইভিডিবি সংস্থা সূচনা প্রকল্পটি সিলেট জেলায় সিলেট সদর উপজেলার মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কর্মশালাটির উদ্দেশ্য ছিল সূচনা প্রকল্পের উপজেলার সূচনা উপকার ভোগীদের উত্তম অনুশীলন প্রদর্শনী করা। এতে করে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ উপকার ভোগীদের যেমন পরামর্শ দিতে পারবেন আবার সরকারী অন্যান্য প্রজেক্টে ও রেপ্লিকেশন করতে পার বেন।
সূচনা প্রকল্পের জিসিডিও হেলেন সরকারের সঞ্চালনায় অতিথিদের আসন গ্রহণ ও পরিচয় পর্ব শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফআইভিডিবি সূচনা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ ছাদিকুর রহমান। তিনি সভায় উপস্থিত সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্টানের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত সূচনার ৮জন উপকারভোগী তাদের সফলতার গল্প উপস্থাপন করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুক্তা সরকার বলেন নারীরাও কৃষি কাজে সফল হচ্ছে। আজকে সূচনার এই কর্মকান্ড তার জলন্ত উদাহরন। নারীরা যত এগিয়ে আসবে দেশের উন্নয়ন তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন আমি আশা করি প্রত্যেকটি কিশোরী তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। কিশোরীরা তাদের নিজস্ব যোগ্যতা ধরে রাখে তাহলে উন্নতি শিখরে পৌঁছাবে। তিনি চীনের প্রযুক্তির ও প্রশিক্ষণ এর বিষয় এর উদাহরন প্রদান করেন ।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নুসরাত এ এলাহী বলেন আমাদের দেশের নারীরা এখন অনেক সাহসী ও কর্মঠ। তারা পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে সকল কাজে সফল হচ্ছে। আজকে সূচনার সাথে যারা জড়িত তারা তাদের এই সফলতা যেন ধরে রাখতে পারে ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী অফিসার মোঃ হিরন মাহমুদ বলেন দুর্যোগকালীন যে জলবায়ূ সহিজ্ঞু সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। সকলে মিলে মিশে সকল ধরনের বিপদ আপাদ মোকাবিলা করলে সফলতা বেশি হয়।
উপজেলা সহকারী মৎস্য অফিসার রুহি খাতুন বলেন পুকুরে মাছ চাষের পাশা পাশি পুকুর পাড়ে সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।আমাদের উচিৎ প্রতি বছর পুকুরে মাছ ছাড়া ও মাছের নিয়মিত বাড়ীতে তৈরী করা খাবার দেওয়া।
উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ অফিসার মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন আমি খুবই খুশি এই জন্য যে, সূচনা প্রকল্প এর উপকারভোগীরা আজ হাস, মুরগী, ভেড়া ও ছাগল পালন করে লাভবান হচ্ছে। নারীরা তাদের পরিবারের কাছে তাদের গ্রহন যোগ্যতা আরও বাড়াতে পারছে।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন সূচনা প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার, জিসিডিও, ইউসি, পিএসআইএসও, আরোও অনেকে।
Related News
স্থানীয় স্কাউট নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা: জুলাই- আগস্টে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদেরকে কাজ করতে হবে, আমিনুল ইসলাম
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সদস্য (১) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই- আগস্টে যারা জীবনRead More
কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সিলেটRead More