Main Menu

জালালপুরে একটি পরিবারের সম্পত্তি দখলে রাখতে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অভিযোগ

দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে একটি পরিবারের সম্পত্তি দখলে রাখতে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশি মৃত চমক আলীর মেয়ে রাজিয়া বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই পরিবারের সম্পত্তি দখলে নিতে মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে তাদেরকে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করছেন। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শেখপাড়া গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে মো. নিজামুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে নিজামুল ইসলাম বলেন, আমাদের পিতামহ মৃত আজিজ উল্লার তিন সন্তান হলেন, মরহুম রাশিদ উল্লাহ, রইছ উল্লাহ এবং রমিজ উল্লাহ। আমাদের বাড়িতে মোট ৪৮ শতক ভূমি রয়েছে। এ ভূমি আমরা তিনটি পরিবার ১৬ শতক করে প্রায় ১৫০ বছর যাবত একই বাড়িতে ভোগদখল করে আসছি। আমার দাদা রইছ উল্লাহ মারা যাওয়ার পর রাজিয়া বেগমের দাদা রাশিদ উল্লাহ এবং আজিজ উল্লার আরেক ছেলে রমিজ উল্লাহর নামে ভুলবশত এস এ দাগে বাড়ির পুরো অংশটুকুও রেকর্ড হয়ে যায় । ২০০৪ সালের মাঠ জরীপে এসে বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন সেটেলম্যান্ট জরীপের লোকজন দেখতে পান রইছ উল্লাহর নামে কোন ভূমি রেকর্ড নেই। তারা তখন মাঠ পর্ছায় রইছ উল্লার ছেলে অর্থাৎ আমার বাবা মোবারক আলীর নামে এককভাবে ১৬ শতক ভূমি রেকর্ড করে দেন। তাই বর্তমান মাঠ জরীপ ও প্রিন্ট পর্ছায় আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
নিজাম বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় ২০১৯ সালের শেষের দিকে নতুন আরেকটি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেই। আমাদের ১৬ শতক ভূমির অংশে ঘর নির্মাণের প্রাক্ষালে বাড়ির তিন পক্ষের লোকজন মিলে সকলের সম্মতিতে সীমানা নির্ধারণের জন্য আমিন নিয়ে আসা হয়। জায়গা পরিমাপের সময় দেখা যায় রাজিয়া বেগমদের অংশে ১৬ শতকের বেশি জায়াগ রয়েছে। আমিনসহ সকলেই এই অংশটুকু আমাদেরকে ফেরত দিতে রাজিয়া বেগমকে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে রাজিয়া বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আমাদের বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে তারা আমাদের উপর সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। তাৎক্ষণিক গ্রামের মুরব্বীয়ানরা বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন এবং সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন। মুরব্বিয়ানরা সালিস বৈঠকে বসে উভয় পক্ষকে ক্ষতিপূরণ বাবদ আর্থিক জরিমানা করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু এক মাস পর হঠাৎ করেই রাজিয়া বেগম আকষ্মিকভাবে মোগলাবাজার থানায় আমাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বসে। তদন্তে এসে এসআই হারিছ জানতে পারেন গ্রামের মুরব্বীয়ান বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। ব্যর্থ হয়ে ২ মাস পর রাজিয়া বেগম আদালতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আমার প্রবাসী বড় ভাই ছয়ফুল ইসলাম সাবুলকে আসামি করা হয়েছে। রাজিয়া এতেও থেমে থাকেনি। সে আমাদের ঘর নির্মাণ বন্ধ রাখতে এবং আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে আদালতে স্থিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের করে। সে প্রেক্ষিতে আদালত ১৫৪ ধারা জারি করেন। স্থিতাদেশ থাকা অবস্থায় রাজিয়া ও তার সহযোগীরা আমাদের জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া এ মামলা দায়ের করার কারণে আমরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হই। কারণ প্রায় এক বছরে ২ লক্ষ টাকা সাটারিংয়ের ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে। এ মামলার রায় প্রদানকালে আদালত বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্থ করার লক্ষেই এ মামলা।
নিজাম আরও বলেন, রাজিয়া বেগমের পিতা চমক আলীর নিকট থেকে আমার পিতা মোবারক আলী সোয়া শতক ভূমি ক্রয় করেন। উক্ত ভূমিও জোরপূর্বক দখলে রাখতে চায় রাজিয়া বেগম। আমরা বাধ্য হয়ে সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা (নং-৯৭৩/২০২১) দায়ের করি। মামলাটি বিচারাধীন। রাজিয়া বেগম ও তার সহযোগীদের হাত থেকে রেহাই পেতে নিজামুল ইসলাম সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *