Main Menu

খুলনা বঙ্গবাসী স্কুলের ৯৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

বন্ধুত্বে আলো, বন্ধুত্বে সয়, বন্ধুত্বে শক্তি, বন্ধুত্বে জয়। বন্ধুদের এই বন্ধনকে অটুট রাখতে খুলনার খালিশপুরে বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এক মিলনমেলার আয়োজন করেন। পুরানো সেই দিনের কথা ভুলতে না দিয়ে আবারো তারা মেতে উঠেন নতুন প্রাণসঞ্চারে। আনন্দ, হাসি, গান, কবিতা আর আড্ডায় এদিন শিক্ষার্থীরা শুধু তাদের পুরানো স্মৃতিকে স্মরণ করেননি, ভবিষ্যতেও একসাথে চলার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। আর তাদের সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ মিলেমিশে সেই আশীর্বাদই যেনো করলেন। তারাও যুক্ত হন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাসে।

শুক্রবার বঙ্গবাসী স্কুল প্রাঙ্গনেই সেই পুরনো দিনেরই স্মৃতিচারণে মেতে উঠেন সবাই। মিলনমেলার অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সকাল ৮টার আগেই স্কুলের অডিটরিয়ামে এসে উপস্থিত হতে থাকেন। শীতের খেজুরের রস আর সকালের নাস্তার মধ্য দিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গণ। স্মৃতি হাতড়াতে তারা ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। আবার বিদেশ থেকেও ছুটে এসেছেন অনেকে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কামরুল হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, খালিদ আহমেদ সিদ্দিকী, মেহেদী হাসান, নাফিজ আল মামুন, আরিফুল ইসলাম, কাজী কামাল, সাহাবুদ্দিন সাবু, সেলিনা রহমান, সুরাইয়া, স্বপুা প্রমুখ।

বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচের পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খালিদ আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ২৬ বছর পর খুলনা বঙ্গবাসী স্কুলের ১৯৯৪ ব্যাচের বন্ধুরা বন্ধুত্বের টানে, শৈশবের মধুর স্মৃতিচারণায় এক ব্যতিক্রমধর্মী মিলনমেলার আয়োজন করেছে।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শৈশব-কৈশোরের খোঁজে এখানে ছুটে এসেছি, স্বপ্নের দরবারে, স্মৃতির আঙিনায়।

জাঁকালো এই আয়োজনে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লুৎফুর রহমান, শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রাক্তনদের আবেগ যেন একটু বেশিই ছিল। খুনসুটিতেও কেউ কাউকে ছেড়ে দেননি। তাদের আবেগ-স্মৃতিচারণ-আড্ডা ছুঁয়ে যায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু, সতীর্থ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পেয়ে প্রাণ জুড়িয়েই শেষ হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *