Main Menu

বিশ্বনাথে শিশুর মৃত্যু ॥ ৬ পরিবার আইসোলেশনে

সিলেটের বিশ্বনাথে গালিব শাহরিয়ার (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যুর পর করোনা সন্দেহে তার শরীরের স্যাম্পল সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সাথে স্যাম্পলের ফল না আসা পর্যন্ত ৬টি পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।

বুধবার দিবাগত রাত ১১.৪৫ মিনিটের দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু গালিব। সে উপজেলার ধীতপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ভাগ্নে ও সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার জলসি গ্রামের নেওয়াজ শরিফের পুত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭ বছর পূর্বে গালিবের বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার ধীতপুর গ্রামস্থ বাবার বাড়িতে নিয়ে বসবাস করছেন গালিবের মা। ৭ মাস পূর্বে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয় গালিব। অভাব অনটনের সংসারে নিয়মিত না হলেও নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী গালিবের চিকিৎসা চালিয়ে যান তার মামা।

প্রায় দুই মাস পূর্বে গালিব ও তার বোনকে বাড়িতে রেখে তাদের মা ফাতেহা বেগম ওমান চলে যান। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে গালিবের শরীর ফুলে গেলে ও পায়ে পানি জমাট হলে স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে সে মৃত্যুবরণ করে। এরপর লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তার মামা।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সংগ্রহ করা হয়েছে গালিবের মুখের লালা ও থ্রট সোয়াব। নমুনা সংগ্রহের পর দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমদ, থানার এসআই সঞ্জয় চন্দ্র দেব, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক ও স্থানীয় মেম্বার শাহনেওয়াজ চৌধুরী সেলিমের উপস্থিতিতে জানাযার নামাজ শেষে গালিব শাহরিয়ারের লাশ দাফন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক জানান, জনমনে থাকা আতংক দূর করতে ও গালিব করোনায় আক্রান্ত ছিল কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পরিবার সূত্রে জানা গেছে গালিব দীর্ঘদিন ধরে কিডনী রোগে আক্রান্ত ছিল।

গালিবের মামা আবদুল আওয়াল জানান, প্রায় ৭ মাস পূর্বে সে (গালিব) কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়। মঙ্গলবার তার শরীর ফুলে গেলে ডাক্তাররের পরামর্শে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেলে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তবে গালিবের শরীরে জ্বর বা কাশি ছিলো না।

মৃত গালিব ও তার পরিচর্যাকারীর (মামার) নমুনা সংগ্রহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রহমান মুসা বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমদ বলেন, পরবর্র্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গালিবের মামার ও আশপাশের আরো ৫টি পরিবারের সদস্যকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আর সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *