Main Menu

মিয়ানমারে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ব্রিটিশরা চায় না এটি আমি বলি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাজ্য টেরিটোরি থেকে মিয়ানমারে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ নিয়ে ‘খটকা’ আছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি। কিন্তু ব্রিটিশরা মন্ত্রীকে এ নিয়ে বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রথম থেকে আমাদের সহায়তা করছে। কিন্তু কয়েকটি তথ্য দেখে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। ব্রিটিশরা চায় না যে, এটি নিয়ে নিয়ে আমি কথা বলি।’

ব্রিটেনের অনেকগুলো ওভারসিজ টেরিটোরি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেসব ওভারসিজ টেরিটোরি থেকে মিয়ানমার সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত চার-পাঁচ বছরে ৭৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে মিয়ানমারে। এরমধ্যে ২০২০-২১ সালে একবছরে তারা মিয়ানমারে ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এজন্য আমি ব্রিটিশ সরকারকে বলেছি, আপনারা মানবাধিকারের এক নম্বর সমর্থক, গণহত্যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু আপনাদের টেরিটোরি থেকে বিনিয়োগ হচ্ছে। এটি আমার কাছে খুব খটকা লেগেছে। কিন্তু তারা বলেছেন, এসব নিয়ে বেশি কথা না বলতে। আপনারা (সাংবাদিক) বরং উনাদের জিজ্ঞাসা করেন বিষয়টি কী।’

জিএম কাদেরে সঙ্গে বৈঠক:

জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসনের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখা করতে পারেন এবং সেটিতে কোনও অসুবিধা নেই। তারা (ব্রিটিশরা) জানে, একটি কূটনৈতিক শিষ্টাচার আছে এবং তাদের সেটি মেনে চলা উচিত। তারা যথেষ্ট সজ্ঞান।’

মোমেন বলেন, ‘উনি (রাষ্ট্রদূত) আসছে তাদের (জাতীয় পার্টির নেতা) সঙ্গে দেখা করতে। উনার দেশে বড় সমস্যা হচ্ছে। হয়তো সে সমস্যা কীভাবে উত্তরণ করা যায়, সেটির জন্য পরামর্শ নিতে আসছেন। উনারাইতো বড় সমস্যায় আছেন। সেই সমস্যা উত্তরণের জন্য তারা যদি আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আসেন, তাহলে তো সেটি ভালো।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *