পেটে গজ রেখেই সেলাই, ৩৬ দিন পর বের করা হলো
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনকালে রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৩৬ দিন পেটে গজ বহনের পর একই হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে সেটি বের করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর নাম শারমিন আক্তার। তিনি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা জিয়াউল হাসানের স্ত্রী। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
শারমিনের অভিযোগ, ‘সিজারিয়ান অপারেশনের পর থেকে কোনোভাবেই পেটের ব্যথা কমছিল না। চিকিৎসকদের বারবার জানালেও তাদের এক কথা, ঠিক হয়ে যাবে। বাসায় যাওয়ার পর ব্যথা আরও তীব্র হয়। এ জন্য বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে গেলেও নিস্তার মেলেনি। আবারও শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। সেখানে ধরা পড়ে আমার পেটে গজ। আর সেই গজ পচে পুঁজ হয়ে তা বের হচ্ছিল। প্রায় চার ঘণ্টা অপারেশন করে গজ বের করা হয়। যা চিকিৎসকদের কাছে রয়েছে।’
শারমিনের বাবা আব্দুর রব সিকদার জানান, গত ১৬ এপ্রিল হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় সে। অস্ত্রোপচারের পর থেকে পেটে ব্যথা অনুভব করে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কিছু দিন পর শুরু হয় প্রচণ্ড ব্যথা। সম্প্রতি পেট ফুটো হয়ে বের হয় পুঁজ। এরপর আবারও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায় শারমিনের পেটে গজ রয়েছে।
২২ মে পুনরায় অস্ত্রোপচার করে তা বের করেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের পরিচয় জানাতে পারেননি শারমিনের পরিবারের কেউ।
এধরনের সমস্যায় যাতে আর কোনও রোগীকে পড়তে না হয় এ জন্য অভিযুক্তকে চিকিৎসককে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন আব্দুর রব। একই দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী রোগীর এসএসসি পরীক্ষার্থী বড় মেয়েও।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্তে সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশীদ জাহান ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনকে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
Related News
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী ময়লা-আবর্জনা যথাস্থানে ফেলার আহবান
সিন্টু রঞ্জন চন্দ: শরৎ ও বর্ষা মৌসুমে মশার উৎপাত থাকলেও এবার হেমন্তের মাঝা-মাঝিতেই সিলেট নগরীতেRead More
সিলেট সদর উপজেলার এইচ পি ভি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন মধ্যবর্তী পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সিলেট সদরন উপজেলার এইচ পি ভি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন ২০২৪ এর ক্যাম্পেইন মধ্যবর্তী পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।Read More