Main Menu

উদীচী’র ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

‘দূর কর দুঃশাসন দুরাচার, জনতা জেগেছে যে দুর্বার’- স্লোগানে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সিলেট ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। ক্বীনব্রিজের পাদদেশে সুরমাপাড়ে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত সাড়ে ৮ট পর্যন্ত একক ও দলীয় সংগীত এবং শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে।
উদীচী সিলেটের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী। বক্তব্য রাখেন উদীচী সিলেটের সাবেক সভাপতি ও প্রগতি লেখক সংঘ সিলেটের সভাপতি এ কে শেরাম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন চৌধুরী সুমন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ।
জাতীয় সংগীত দিয়ে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। এসময় গান পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন সিলেট, উদীচী সিলেট, ব্যান্ডদল পেপার বোর্ড পাইরেটস্। একক সংগীত পরিবেশন করেন গণসংগীত শিল্পী অংশুমান দত্ত অঞ্জন, রতন দেব, মিজানুর রহমান, প্রদুৎ দাস ও আহমদ চৌধুরী মার্জান।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেন ও রণেশ দাসগুপ্তের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে, বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকারে সোচ্চার থেকে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলো। মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন উদীচীর শিল্পীরা নেমেছিলেন, তেমনি মানুষের মানসিক প্রেরণা ও যুদ্ধের শক্তি-সাহস যোগাতে কাজ করেছে উদীচী। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সম্মানজনক ‘একুশে পদক’ অর্জন করেছে উদীচী।
কাঙ্খিত স্বপ্ন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আগামীতে আরও সুদৃঢ়ভাবে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক বিপ্লবেই পারে সমাজ থেকে সকল অন্ধকার ও কালিমা মুছে দিতে। মানুষের মানবিক ও সাংস্কৃতিক চেতনাকে সজাগ করতে হবে। তার আচার আচরণ ও শিল্পবোধই একজন প্রকৃত মানুষ গঠনে সহায়তা করে। সেই ক্ষেত্রে এই চলমান ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, বিচারবহির্ভুত হত্যা এবং রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকলসহ সকল ক্ষেত্রে এই সহিংসতা ও দুর্নীতি রুখে দিতে মানুষের জাগরণ খুই জরুরী। তাই এবারের স্লোগান ‘দূর কর দুঃশাসন দুরাচার, জনতা জেগেছে যে দুর্বার’। এই মানুষের জাগরণকে প্রাধান্য দিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *