সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন: দশ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে উল্টো মিথ্যাচার করছেন রাজিয়া

সিলেট সদর উপজেলার চাতল মৌলাটিকর গ্রামে ১০ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় রাজিয়া বেগম ও তার সহযোগীরা। উল্টো এখন চরিত্রহনন করতে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন গ্রামের আব্দুল মছব্বিরের ছোট ভাই আহমদ আলী হেলাল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে রাজিয়া বেগম আমার ভাই আব্দুল মছব্বিরসহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে গেছেন। মূলত আমাদের চরিত্রহনন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তিনি এ মিথ্যাচার করে গেছেন। অথচ আমরা বারবার গ্রাম ও এলাকার সালিস ব্যক্তিত্বের দ্বারস্থ হলেও একমাত্র রাজিয়া বেগমের বেপরোয়া আচরণ ও প্রবল হিংসাত্মক মনোভাবের কারণে সমাধান পাইনি।
তিনি জানান, মূল সড়ক থেকে আমাদের বাড়ির অবস্থান চাতল বাজারের কাছাকাছি এবং মৃত আব্দুস শহীদের বাড়ির পিছনের অংশে। আমরা ১০টি পরিবারের যাতায়াতের সড়ক হচ্ছে মৃত আব্দুস শহীদের ওয়ারিশদের বাড়ির উত্তর দিকে। ওই পথকে প্রশস্ত করতে ২০১৩ সালে রাজিয়া বেগমের কাছ থেকে দুই শতক ভূমি আমার ভাই রফিক আহমদ ও ভাতিজা তোরাব আলী ক্রয় করেন। চলতি বছর ভূমির আরেক মালিক রাজিয়ার বড় ভাই মৃত শায়েস্তা মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম ও তার ছেলে রাব্বির কাছ থেকে আমার ভাই আব্দুল মছব্বিরসহ ৫ জন দুই শতক তুমি ক্রয় করেন। এই ভূমি রাজিয়া বেগমের বিক্রয় করা ভূমির নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত। মোট চার শতক ভূমি ক্রয় করার পর রাস্তাটি হয়েছে প্রায় ১৪ ফুট প্রশস্ত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ জুলাই হঠাৎ রাজিয়া বেগম দলবলসহ যাতায়াতের সড়কে জোরপূর্বক পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। ঘটনায় আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি। একজন সাবইন্সপেক্টর গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজিয়া বেগমকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
আহমদ আলী হেলাল বলেন, এই ঘটনার দিনই আমার ভাই জালাল আহমদ বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট খানায় জিডি করেন। গত ৫ জুলাই ও পরবর্তীতে ৩১ জুলাই আমার ভাই রফিক আহমদ সিলেটের এডিএম কোর্টে ১৪৫ ধারায় রাজিয়া বেগম, তার ছেলে তানজিল আহমদ, ভাই মাসুক মিয়া, স্বামী নাজিম উদ্দিনে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এডিএম কোর্টে দায়ের করা প্রথম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত আগস্টে আদালতে দেওয়া তদন্ত রিপোর্টে আমাদের ক্রয় করা ভূমিতে রাজিয়া বেগম ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করছেন বলে উল্লেখ করেন। আরেকটি ১৪৫ ধারার মামলার তদন্ত রিপোর্টেও এই কথা উল্লেখ হয়েছে।
রাজিয়ারা আইনের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অন্যায় করছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট রাজিয়া বেগম ও তার সহযোগীরা পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় আমাদের ভূমিতে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। আমরা মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ রাখার নিষেধ দিলে সহযোগীদের নিয়ে আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় তারা। এতে আমার ভাবী দিলারা বেগম, ভাতিজা তাহসিন, ভাতিজা জুবের আহমদ ও আমার বড় ভাই আব্দুল মছব্বির গুরুতর আহত হন। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় বএয়ারপোর্ট থানায় মাসুক মিয়া, নাজিম উদ্দিন, রাজিয়া বেগম, তানজিন আহমদসহ ১০—১২ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করা হয়। কিন্তু চতুর রাজিয়া বেগম মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে থানায় আমাদের পরিবারের ৭—৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা এজাহার দেন। অদৃশ্য ইন্ধনে পুলিশ তাদের মামলাটিও রেকর্ড করে। বর্তমানে আমাদের পরিবারের সব পুরুষ সদস্য বাড়ি ছাড়া। কিন্তু রাজিয়া বেগম ও তার সঙ্গে থাকা আসামিরা বহাল তবিয়তে এলাকায় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ঈদগাহের পথ বন্ধ করিনি বরং আমরা আমাদের ভূমি ও আমাদের নিজস্ব সড়ক দিয়েই গ্রামবাসীকে ঈদগাহে যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছি। এছাড়া রাজিয়া বেগমের ছেলে তানজিন আহমদকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ঢাহা মিথ্যা এবং কাল্পনিক। আহমদ আলী হেলাল সৃষ্ট ঘটনার প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেরনে গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বি ইউসুফ মিয়া, গুলাবনুর, আব্দুল খালিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Related News

শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেক
দেশ- বিদেশে অবস্থানরত ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর ৩৯ নং ওয়ার্ডের সনাতন ধর্মাবলম্বিদেরকে শারদীয় দুর্গোৎসবRead More

প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করে সিলেটে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে হবে: খান মোহাম্মদ রেজাউন নবী
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, সিলেট প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অন্যতম একটি পর্যটন এলাকা।Read More