যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার দুপুরে গুলশানের একটি বাসায় বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক-এর সাথে এক বৈঠক করেন।
এ সময় জামায়াত আমিরের সাথে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের সাথে আমাদের খোলামেলা কথা হয়েছে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন কখন হবে, কীভাবে হবে এটা জানতে চেয়েছেন। তারা আরও জানতে চেয়েছেন সবগুলো দল রিফর্ম চাচ্ছে, সেই রিফর্ম কেমন হতে পারে এবং আমরা কি চাচ্ছি? আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে? তারা আমাদের রিজিওনাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন। তারা মাইনরিটি ইস্যু, উইমেনস রাইটস, লেবার রাইটস নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা তাদের এসব বিষয় নিয়ে কনভারসেশন করেছি। এর পাশাপাশি আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি।
এ সময় আমেরিকার পক্ষ থেকে ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ ধার্য করা হয়েছে। এটা যেন তারা পুনর্বিবেচনা করেন এবং আমাদের এই অনুরোধ যেন তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের নিকট পৌঁছে দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করি এবং দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করতে চাই। এজন্য আমাদের যা করণীয় তা করবো। উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলেছি, প্রত্যেকটা ক্রেডিবল ইলেকশনে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। কম হোক, বেশি হোক সংসদের ভিতরে আমাদের সংসদ সদস্য ছিলেন। এ্যাট দ্য সেইম টাইম ইলেকশন যখন বাংলাদেশে মৃত প্রায় হয়ে গিয়েছিলো এরশাদ সাহেবের সময়,তখনকার জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম ইলেকশনকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা প্রস্তাবনার মাধ্যমে। যেটা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দলীয় স্বার্থে এটাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। এখন আবার সারা জাতি এটা চাচ্ছে এবং আমরা আশা করি এটা আবার সংবিধানে সন্নিবেশিত হবে। আমরা আগামী নির্বাচনটা ফেয়ার ভিত্তিতে করতে চাই। ইতোমধ্যে তা বারবার বলেছি আপনারা জানেন। কেন চাই তাও আপনারা জেনেছেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা জানতে চেয়েছেন কখন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এই বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিবেন। আমরা আশা করি ইলেকশনটা এই সময়ের মধ্যেই হবে। তবে আগামী রমজানের আগে হলে ভালো হয়। জুনের দিকে নির্বাচন দিলে তখন বর্ষা, ঝড়-ঝাপ্টাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। তখন আবার ইলেকশনটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিবে। আমরা এইজন্য চাচ্ছি ঐ আশঙ্কার আগেই যাতে ইলেকশনটা হয়ে যায়।’
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে জামায়াত আমীর বলেন, ‘জাতি ট্রমাটাইসড! এখনো হাসপাতালে অনেক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীরা পড়ে আছেন। এখনো শহীদদের মা-সন্তান-স্ত্রীরা কান্না করছেন। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে আমরা সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।’
Related News

যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার দুপুরে গুলশানের একটি বাসায় বাংলাদেশ সফররত মার্কিনRead More

জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান। আগামীকাল পহেলাRead More