Main Menu

সিলেটে এবার মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা

গত বছরের তুলনায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৭ টাকা বেশি নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাই এবার কোরবানির গরুর চামড়ার দাম কিছুটা বাড়তি পাওয়ার আশা করছিলেন কোরবানি দাতা, ব্যবসায়ী, মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। তবে শেষ পর্যন্ত দাম বাড়েনি। গতবারের মতোই কম দামে বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া।

জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের একমাত্র সংগঠন সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সূত্র জানিয়েছে, সিলেটে দেড় লাখ গরু কোরবানি হয়েছে। এবার তাদের সংগঠনের সদস্যরা মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছেন।

বিভিন্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার (১০ জুলাই) দুপুরের পর ছোট আকারের গরুর চামড়া ২০০–২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ৪০০–৪৫০ এবং বড় আকারের গরুর চামড়া ৫০০–৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অধিকাংশ আড়তদার ছোট আকারের গরুর চামড়া এবং খাসির চামড়া কিনতে অনীহা দেখান। ছোট আকারের গরুর চামড়া কেউ বিক্রি করতে আনলে ১০০ টাকা দামও বলছেন ব্যবসায়ীরা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরুর চামড়ার সঙ্গে ‘ফ্রি’ পাওয়া গেছে ছাগলের চামড়া।

সিলেটের কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী জানান, বড় আকারের গরুর চামড়া ৩৫-৪০ বর্গ ফুট, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ২১-৩০ এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ১৬-২০ বর্গ ফুটের হয়। একেকটি গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণ ও শ্রমিকের মজুরিসহ গড়ে ৩০০ টাকা খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এবার লবণের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় খরচ কিছুটা বেশি পড়ছে। অন্যদিকে রাতে যখন তাদের কাছে চামড়া এসেছে তখন তাদের হাতে লবণ ছিল না।

সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি শেখ শামীম আহমদ বলেন, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেরা চামড়া সংগ্রহ করবেন এমন ঘোষণা দিলে ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে লবণ সংগ্রহে রাখেননি। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন তেমন চামড়া সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে রাতে যখন ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া আসে তখন তাদের কাছে লবণ ছিল না। এজন্য রাতে ২০০ থেকে আড়াইশো টাকায় বিক্রি হয় চামড়া।

সিলেট সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক মো. ফারুক আহমেদ জানান, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাত থেকে চামড়া রক্ষা করে উপযুক্ত দামে বিক্রি করে মাদ্রাসা, এতিমখানাকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এবার ১০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ চামড়া সংরক্ষণ, বিক্রয়-বিপণন সুবিধা নিশ্চিত এবং নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এই উদ্যোগে নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। যতটুকু পেয়েছে তা সংগ্রহ করে রেখেছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *