জকিগঞ্জে আবার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে

সিলেটের জকিগঞ্জে আবার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীর পানি ১ ফুটের উপরে বেড়েছে। কোথাও কোথাও আগের ভাঙন দিয়ে পানিও লোকালয়ে ঢুকার খবর পাওয়া গেছে।
গত মাসের বন্যার পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখনো প্লাবিত। এর মধ্যে রোববার রাত থেকে নদীর পানি ফের পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার প্রতিটি এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জকিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জকিগঞ্জ আমলশীদ কুশিয়ারা নদীর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জকিগঞ্জ সদর ইউপির রারাই গ্রামের ভাঙন দিয়ে দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে রারাই, পাঠানচক, এলংজুরী, সকড়া, ইলাবাজসহ অনেক এলাকা আবারও প্লাবিত হয়ে পড়ছে। এতে ফের দূর্ভোগ পোহাতে হবে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। পানি আতঙ্কে কৃষিক্ষেত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গত মাসের বন্যার পানি নামার পর কৃষি জমিতে আমন ধানের বীজ বোপন করা হয়েছিলো। কিন্তু নতুন করে বন্যার পানি আসায় তা তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
রারাই গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, টানা কয়েকদিন পানি থাকার পর মাত্র দুই তিনদিন আগে ঘর থেকে পানি নেমেছে। এখন আবার ঘরে পানি উঠে যাবে। ডাইকের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকছে। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই।
হাইল ইসলামপুর গ্রামের শরীফ আহমদ জানান, ভাঙা ডাইক দিয়ে পানি ঢুকে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। গত বন্যার পানি এখনো রয়েছে। পানির কারণে অনেক পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই সপ্তাহে অনেকজন বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এরমধ্যে আবার পানি আসছে। লোকজন এখন কী করবে, কোথায় যাবে কিছুই বুঝতে পারছেন না। বন্যার কারণে নিম্নাঞ্চলের মানুষের যে কী ক্ষতি হচ্ছে তা বলে বোঝানো যাবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, সিলেটের পাশাপাশি ভারতের উজানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বরাক নদী দিয়েই ভারতের উজানের পানি নেমে আসে। এ কারণে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। অন্যদিকে ভাটির সব জলাধার পানিতে টইটুম্বুর থাকায় পানি টানতে পারছে না। ফলে বৃষ্টি হলেও পানি নামার জায়গা নেই।
তিনি বলেন, ভাঙা ডাইকগুলো মেরামত করতে ইতিমধ্যে ঢাকায় প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। প্রস্তাবনা অনুমোদন হলেই ডাইকে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
Related News

ঈদুল আযহা উপলক্ষে সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর নাজির উদ্দিনের শুভেচ্ছা
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সিলেট সদর উপজেলাসহ দেশ-বিদেশের সকলের প্রতি সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর নাজিরRead More

সদর উপজেলাবাসীকে প্রভাষক মো. খলিল আহমদের পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা
সিলেট সদর উপজেলাবাসীসহ দেশ- বিদেশের সকলকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তরুন সমাজসেবি প্রভাষক মো.Read More