আবহাওয়া তথ্যসেবা- আগাম সতর্কবাণী পদ্ধতি জোরদারকরণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক সেমিনার
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে রাখার প্রতি সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আয়োজিত জনসচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আবহাওয়া, তথ্য, সেবা ও আগাম সতর্কবাণী জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্র, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাত-এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট-এর উপ-পরিচালক কাজী মজিবুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি ও হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, আগাম সতর্কবার্তাপ্রাপ্তির কারণে সিলেটের সাম্প্রতিক বন্যায় প্রাণহানি নেই বললেই চলে। সিলেটে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে-এ বার্তাও আমরা আগাম পাচ্ছি। এক সময় এ ধরণের ‘মেসেজ’ পাওয়া যেত না বলে-ফলে দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতো। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দুর্যোগকালে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার মানসিকতা এখনো তৈরী হয়নি। ফলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা বাড়ছে। সাধারণ মানুষ যারা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে এ ধরণের সেমিনার আয়োজন করা গেলে আরো ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে পরামর্শ তাঁর। তিনি বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা চলছে। আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখছি, আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি ও হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া বলেন, সিলেটের নদ-নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্যায় পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। এখানকার নদ-নদী ড্রেজিংয়ের ওপর জোর দেন তিনি। বন্যায় সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসলহানির বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, এটা খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে গেল। তিনি কৃষকদের শস্য ইন্স্যুরেন্সের আওতায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, সিলেটে এবার অল্প সময়ে বেশী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে পরিবর্তন আসছে কাঠামোগত সিস্টেমে। পাশাপাশি ভূমিকম্পের জন্যও ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চল। এ অঞ্চলে বজ্রপাতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তবে, সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে বজ্রপাতে প্রাণহানি অনেকটাই রোধ করা যাবে।
Related News
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগরে কবরস্থানের জমি উদ্ধার করলেন ইউএনও
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবেরবাজার এলাকায় অবস্থিত বাজারতল কবরস্থানের জমি অবৈধভাবে দখল করে সেখানেRead More
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের পক্ষে খাদিমনগর ইউনিয়ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ১ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুলRead More

