Main Menu

অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারী থানার অর্থপাচার মামলায় প্রত্যেক আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের চার কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।

এর আগে মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য ছিল। তবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় এদিন রায় ঘোষণা হয়নি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। গত ১৬ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রেখেছিলেন।

২ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলার মোট আসামি ১১ জন।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক সাদেক আলী ২০২০ সালের ২৬ জুলাই এনু ও রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

মামালার বাকি আসামিরা হলেন, তাদের ৩ ভাই শহীদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার এবং তাদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান।

এদের মধ্যে এনু, রুপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুলকে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়ারী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় এর আগে তুহিনকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। শহীদুল, রশিদুল, মেরাজুল ও পাভেল পলাতক।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩ এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসাব বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *