রাজপথকে প্রকম্পিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে: সিলেটে টুকু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়াই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাবন্দী। তিন বারের সাবেক সফল প্রধামন্ত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত যত জায়গা থেকে যতটা নির্বাচন করেছেন সবগুলো নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়াকে যিনি বন্দী করে রেখেছেন তিনি নির্বাচনে সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর মান্নানের কাছে পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। আর পরাজিত হওয়ার পরে ঢাকায় আর নির্বাচন করেননি। জাতি সেই ইতিহাস ভুলে যায়নি। শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন করেন। দেশে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। সাহস থাকলে একবার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন। নৌকার প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আর কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবেনা বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের বিষয়টি রাজপথের আন্দোলনেই ফয়সালা হবে।
তিনি বুধবার বিকেলে শহরতলীর টুকেবাজার এলাকায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয়, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা-মহানগর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিলেন এবং এর পরের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়েছিলেন। একেই বলে গণতন্ত্র। তিনি চাইলে সেদিন আন্দোলন দমিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টিয়ে দিয়েছে। আজকের ইতিহাসে একটামাত্র পাতা আছে, যে ওরা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে আর কেউ যায় নি। তবে বাকীরা গিয়ে কী করেছে। মূলত: এ দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ, লুঙ্গি পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে এই জন্যই তাকে জেলে রেখে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাই রাজপথকে প্রকম্পিত করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। গুলি খেতে হবে। রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করতে হবে। খালেদা জিয়া মুক্তির আন্দোলনে যদি আমার দেশের মানুষের গুলি আমার শরীরে লাগে তবে আমি গর্বিত শহিদ। প্রতীকী নয়, আসল কাফনের কাপড় পরে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মাহবুবুল হক চৌধুরী ও আবুল কাশেম এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেকের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ওমর ফারুক শাফিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ জাকির হোসেন খান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সিলেট বিভাগীয় টীম লিডার সাজিদ হাসান বাবু, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, শাহজামাল নুরুল হুদা, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মামুনুর রশীদ মামুন, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, আব্দুল আহাদ খান জামাল ও শামীম আহমদ, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আজাদ মেম্বার, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, খাদিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহেদ আহমদ, কান্দিগাও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আহমদ হোসেন, মোগলগাও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বশির আহমদ, টুকেরবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনাম মেম্বার, জালালাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসলাম উদ্দিন ও হাটখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজির উদ্দিন চেয়ারম্যান ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ তালুকদার ও আনসার উদ্দিন, সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল প্রমূখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, আমাদের মায়ের মতো নেত্রী ভালো না থাকলে আমরা ভালো থাকিনা, দেশ ভালো থাকেনা। বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আমাদের নেতা তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, আমরাও বলছি, দেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে।
সভাপতির বক্তব্যে কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, খুব অল্প সময়ে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। অল্প সময়ের প্রস্তুতি সমাবেশকে জনসমূদ্রে পরিনত করার জন্য সিলেট জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সিলেট হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি। জাতির যে কোন প্রয়োজনে সিলেটের জাতীয়তাবাদী শক্তি যে কোন ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত রয়েছে।
Related News
স্থানীয় স্কাউট নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা: জুলাই- আগস্টে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদেরকে কাজ করতে হবে, আমিনুল ইসলাম
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সদস্য (১) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই- আগস্টে যারা জীবনRead More
কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সিলেটRead More