যাতায়াতের রাস্থা ভেঙ্গে ফেলায় বিপাকে পীরেরগাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট সদর উপজেলার পীরেরগাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্থা ভেঙ্গে ফেলায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার উদ্যোগ নিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (০৭.১০,২০২৫) সকালে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের কয়েকজন লোক মসজিদের রাস্থা দিয়ে যাতায়াতে বাধা দেন। তারা আবারও বুধবার মসজিদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে নিষেধ করেন। যার ফলে শিক্ষকরা বুধবার বিদ্যালয়ে না গিয়ে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে বিষয়টি আবারোও অবগত করেন। গ্রামবাসী এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা না করে বিদ্যালয়ের রাস্থা নির্মান না করে শিক্ষকদের সাথে অন্যায় আচরণ করেন। তারা নিজে রাস্থা নির্মানের ব্যবস্থা না করে শিক্ষকদের অযথা হয়রানি করেন।এসব কারণের রহস্য খুজে বের করা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন।
সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের পীরের গাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বার বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেও বিযয়টি নিয়ে কোন সমাধানে পৌছানো সম্ভব হয়নি। গত বছর সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের প্রচেষ্টায় বিষয়টি সাময়িক ভাবে সমাধান হয়। কিন্তু এ বছর মে মাসে অবারও কিছু লোকজন মসজিদের রাস্থা বন্ধ করে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কমর্কতা বরাবরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম আবেদন করেন। যার স্মারক নং ৩৮.০১.৯১৬২.০০০.২৫.০২৬.২৫-৪০৮। এর পর ২০ জুলাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তালুকদার বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন ইউনিয়ন প্রশাসক শ্যামল চন্দ্র দাশ। তারা গ্রামের লোকজনের সাথে আলোচনা করে কোন সহযোগিতা না পাওয়াতে রাস্থা নির্মানসহ তেমন কোন কাজ এগুতে পারেন নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও তারা এলাকাবাসী সহায়তা না করায় ব্যর্থ হয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তালুকদার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীও শিক্ষকদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শ্যামল চন্দ্র দাশকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু এলাকার লোকজনের সহায়তা না পাওয়ায় তারা চলে যান। তাদের সন্তানের শিক্ষার কথা চিন্তা না করে গ্রামে কোন্দলে জড়ান বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় তারা ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে রাস্থা নির্মানে সকলকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।
নাম প্রকাশে অন্চ্ছিুক একজন অভিভাবক জানান বিদ্যালয়ের ভূমির দলিল পত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বিদ্যালয়ের সঠিক জায়গা নির্ধারণ করা জরুরী। জায়গা নির্ধারন করে বিদ্যালয়ের রাস্তা নির্মান করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সুযোগ সুবিধা করে দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া রাস্থা না থাকায় বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী অন্য বিদ্যালয়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম জানান, ২০২৪ সালের মে মাসে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার রাস্থা ভেঙে ফেলে কিছু লোক কিন্তু বিকল্প রাস্তা নির্মান না করে বিদ্যালয়ের যে রাস্থা ছিল তা ভেঙ্গে ফেলার পর ছাত্র ছাত্রীসহ আমরা যাতায়াতে খুব ভোগান্তি পাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা বার বার উদ্যোগ নিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছি না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তালুকদার জানান অনেক চেষ্টা করেও গ্রামবাসীর সহযোগিতা না করায় বিষয়টির সুরাহা হচ্ছে না।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা খুশবু রুবাইয়াৎ নূর এর সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে তিনি জনান, এ ব্যাপারে তিনি অবগত রয়েছেন।শিঘ্রই তিনি সকলকে নিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করবেন।
Related News

যাতায়াতের রাস্থা ভেঙ্গে ফেলায় বিপাকে পীরেরগাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট সদর উপজেলার পীরেরগাঁও হারিছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্থা ভেঙ্গে ফেলায় শিক্ষকRead More

অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মান আমাদের জাতীয় অঙ্গীকার, খাঁন মো. রেজা-উন-নবী
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খাঁন মো. রেজা-উন-নবী বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব আবহমান বাংলার সম্মিলনের প্রতীক। এই অনুষ্ঠানRead More