খুলনা শিপইয়ার্ডে ৩টি ডাইভিং বোট কমিশনিং করেছেন নৌবাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তিনটি ডাইভিং বোট পানকৌড়ি, গাংচিল এবং মাছরাঙ্গা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হলো।
আজ বৃহস্পতিবার খুলনা নেভাল বার্থে আয়োজিত কমিশনিং অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বোটসমূহের অধিনায়কদের কাছে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
এ সময় সামরিক ও অসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব সক্ষমতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ ও সরঞ্জামাদি তৈরির মাধ্যমে নৌবহরকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২০২১ সালের ১০ জুন খুলনা শিপইয়ার্ডে কিল লেয়িং এর মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে তিনটি ডাইভিং বোট নির্মাণ কাজ শুরু করে। নির্মাণ কাজ ও প্রয়োজনীয় টেস্ট ট্রায়াল শেষে গত ৬ মে ডাইভিং বোটসমূহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নব সংযোজিত ডাইভিং বোটগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৩৮.৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৯ মিটার। বোটগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। ডুবুরি কার্যক্রমের আধুনিকায়নে বোটত্রয়ে সংযোজন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রত্যাহারযোগ্য মাস্ট, লঞ্চ এবং পুনরুদ্ধার সিস্টেম, ডেক ডিকম্প্রেশন চেম্বার। ডাইভিং কার্যক্রমে ব্যবহৃত আধুনিক সরঞ্জাম ও সেন্সরে সুসজ্জিত এই বোটগুলোর মাধ্যমে নৌবাহিনীর ডুবুরিরা আরও কার্যকর ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালনে সক্ষম হবে। এছাড়া প্রতিটি বোটে রয়েছে ১২.৭ মিলিমিটার হেভি মেশিন গান, উন্নত সার্ভেইল্যান্স র্যাডার, জিপিএস, ইকো-সাউন্ডার এবং আধুনিক কন্ট্রোল সিস্টেম।
কমিশনকৃত ডাইভিং বোটসমূহ শান্তিকালীন সময়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রদানসহ ডাইভিং অপারেশন, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, স্যালভেজ অপারেশন, দুর্যোগ ও ত্রাণ তৎপরতায় অংশগ্রহণ, সমুদ্র এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন কনস্টাবুলারি দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পরিচালিত অপারেশ জ্যাকপটের গৌরবজনক সাফল্যে ডুবুরিদের সাহসী অবদান অনস্বীকার্য। সেই সঙ্গে যুদ্ধ পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফুলী নদীর ফেয়ারওয়ে এলাকায় ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক পুর্নগঠনে ডুবুরিগণ ও ডাইভিং বোট অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
Related News

কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’Read More

আগে বেসিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার তার পর নির্বাচন হওয়া উচিতঃ জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়া উচিত বলেRead More