১৯৭৪ সালের মতো আরেকটি দুর্ভিক্ষের পথে দেশ: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৯৭৪ সালের মতো আরেকটি দুর্ভিক্ষের পথে যাচ্ছে দেশ। আওয়ামী লীগ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। তারা ১৯৭২-৭৫ সালের কথা বলে না। কীভাবে তাদের ব্যর্থতা, দুর্নীতির কারণে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তখন খাবার যে ছিল না তা নয়, কালোবাজারি করেছিল। এখনও তাই হচ্ছে। সরকারের মদদ ছাড়া দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সুযোগ নেই।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আগ্রাসন প্রতিরোধ ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম ও জাগপা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলমের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওই আলোচনা সভা হয়।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সতর্ক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ধমকাচ্ছেন। অতীত থেকে শিক্ষা নিন। এর পরিণতি ভয়ানক হবে।’ এর আগে গত বুধবার আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে ভাষা ব্যবহারে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে সতর্ক করতে চাই- আপনারা ইতিহাস থেকে তো শিক্ষা নেন না; এবার একটু শিক্ষা নেন। ১৯৭৪ সালের কথা মনে করুন। তখন দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল। আজকে আবার খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে। মানুষের হাহাকার শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন। মানুষকে কথা বলতে দিন, অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দিন। ভয়ানক পরিণতি যেন না হয় সেজন্য এখন থেকে জনগণের অধিকারগুলো ফিরিয়ে দিন। মানুষ হত্যা বন্ধ করুন, গুম বন্ধ করুন। মিথ্যা মামলা দেওয়া বন্ধ করুন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তা না হলে আপনাদের কোনো দিন কোনো মুক্তি হবে না। এটাই মূল কথা।’
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে আসেন জাতির সংকটের সময়। আবার ১৯৭৫ সালে জাতি যখন দিশেহারা, তখনও তিনি আসেন। এই দুই সময়ের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আর এখানেই সমস্যা আওয়ামী লীগের।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব হলো- তিনি জাতিকে পরিচিতি দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ পরে জাতীয়তাবাদী দর্শনের মাধ্যমে তিনি তা দিয়েছেন। নেতৃত্বের সব গুণ তার মধ্যে ছিল। কোনো লোভ-লালসা ছিল না। একটাই লক্ষ্য ছিল, কীভাবে জাতিকে টেনে তুলবেন।’
জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জালাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
Related News
জালালাবাদ ইউনিয়নে জনসভা: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে
বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতাRead More
আন্দোলনে ৯ হত্যা মামলায় যুবলীগ সভাপতি গ্রেফতার
উপজেলা সদরের যাত্রাপাশা গ্রামের কুণ্ডুরপাড় এলাকা থেকে শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বানিয়াচং থানা পুলিশ তাকেRead More