Main Menu

বাংলাদেশের নার্সরাও একদিন বিশ্বমানের হবেন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি বলেছেন, বিদেশে নার্সদের বিশেষ সম্মান করা হয়। চিকিৎসাসেবা ক্ষেত্রে তাদের অবদান অপরিসীম। আমাদের দেশেও নার্সিংখাতের ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার দেশের নার্সিং ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন করছে। ফলে আমাদের দেশের নার্সরাও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। কোভিড সংকটকালে তারা তাদের সর্বোচ্চ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করেছেন। বিদেশে নার্সরা প্রেসক্রিসপশন করে থাকে। আমাদের দেশের নার্সিংখাতের অনেক উন্নতি হচ্ছে। তারাও একদিন বিদেশের মতো প্রেসক্রিপশন করবে। বিদেশে চিকিৎসকের চেয়ে নার্সের সংখ্যা বেশি। আর আমাদের দেশের চিত্র ঠিক উল্টো। আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ হাজারে একজন নার্স আছেন। আর প্রতি দুই হাজারে রয়েছেন একজন চিকিৎসক।

শনিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার উদ্যোগে ২০২০ ও ২০২১ সালে নবযোগদানকৃত নার্সিং কর্মকর্তাদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগে চিকিৎসাসেবা নিয়ে অনেক বেশি অভিযোগ পাওয়া যেত। এখন সেবার মান অনেক বেড়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তারা রোগীরে প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক। তাদের মানবিক কর্মকান্ডের অনেক সুনাম আছে। ওসমানী হাসপাতাল ইউনিট—২ এর জন্য জায়গা দেখা হয়েছে। একটি ভূমিখেকো চক্র এই জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছে। এদেরকে দমন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। এই উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে হয়তো উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাদেরকে আর বাইরে যেতে হবে না। মন্ত্রী ওসমানী হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তাদের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিএনএ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামিমা নাছরিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন— সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিলেট বিভাগ ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, গাইনী ও অব্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাসরীন আখতার, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিএমএ নেতা ডা. মো. আজিজুর রহমান রোমান, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ) ডা. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভান্ডার) ডা. মাহবুবুল আলম, মিডলেভেল চিকিৎসক পরিষদের সহসভাপতি ও আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালিটি) ডা. জহিরুল হাসান খাঁন, আবাসিক সার্জন (জেনারেল) ডা. মো. রাশেদ আশরাফ, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. শামীম আহমদ, মহানগর কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুর রকিব বাবলু, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ মোন্তাকিম চৌধুরী, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোসাম্মৎ রিনা বেগম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন— সিলেট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনা বেগম, ওসমানী হাসপাতালের উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক চম্পা ইয়াসমিন, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা আক্তার, রেড ক্রিসেন্ট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রেনু আরা আক্তার, আলআমিন নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ শিউলী বেগম, উইমেন্স নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা মজিদ, আরটিএম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, নর্থ ইষ্ট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ গোলবদন, সীমান্তিক নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ইলা দেব, সুরমা নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ সাইদা ইয়াসমিন, ওয়েসিস নার্সিং ইনষ্টিটিউট এর অধ্যক্ষ অঞ্জলী বেপারী, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা আক্তার খাতুন।

নার্সিং কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস আহমেদের কোরআন তেলাওয়াত, পাপ্পু চন্দ্র চন্দের গীতাপাঠ, দিপা নেকলা’র বাইবেল পাঠ এবং বিএনএ ওসমানী হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেকের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ ও হস্তান্তর করেন নার্সিং কর্মকর্তা তৃষ্ণা তেরেজা ডি’কস্তা। নবযোগদানকৃত নার্সিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন নার্সিং কর্মকর্তা মুন্নী দেব।

এছাড়া বিএনএ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা মো. জসিম উদ্দিন সরকার, উপদেষ্টা মো. গোলাম রাব্বানী, সিনিয়র সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সুলেমান আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চন্দ্র দাস, বিএনএ শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মাসুদ আহমদ খান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান স্বাধীন, কুষ্ঠ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ, সিলেট নার্সিং কলেজের স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অর্গানেইজেশন এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ৭ম কার্যপরিষদের সভাপতি মঈন আল শ্রাবন, সাধারণ সম্পাদক বন্যা আক্তার। অনুষ্ঠানে নবীন নার্সিং কর্মকর্তাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সৈয়দা মাধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান বিএনএ ওসমানী হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামিমা নাছরিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক। প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নার্সিং কর্মকর্তা অরবিন্দ চন্দ্র দাস ও কনক লতা ।

নার্সিং কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— নিলুফা ইয়াসমিন, গোলাম মোস্তফা, তাইবুনা আক্তার, সুমন চন্দ্র দেব, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. নাজির আলম, আব্দুল খালিক, মো. কিবরিয়া খোকন, সিক্তা রানী দে, মোসা. কনক লতা, আছমা আক্তার খানম, তৃষ্ণা তেরেজা ডি’ কস্তা, সমীর চন্দ্র দাস, এম এন এ চৌধুরী, এনায়েত আল আমিন, আওলাদ হোসেন মাছুম, তৈয়বুর রহমান, হালিম, রাহুল, শাহাদাত, বিএনএ শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক রুমি রাণী দাস, সিলেট নার্সিং কলেজ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি শ্যামল সরকার, প্রচার সম্পাদক সুকান্ত শীল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শ্যামা আক্তার শীলা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন আক্তার জুহি, কার্যকরী সদস্য উম্মে হাবিবা, সহকারী আবাসন শিক্ষার্থী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বিপাশা আক্তার ঝুমি, সহকারী কোষাধ্যক্ষ সজীব ঘরামী, সহকারী কোষাধ্যক্ষ সুজিনা বেগম, সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ৩য় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন, পিএটু পরিচালক মো. রুহুল আমিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল মালেক খান, ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল।

এছাড়া নবযোগদানকৃতদের বরণ করে নেন নার্সিং কর্মকর্তা অরবিন্দ চন্দ্র দাস, সুমিত্রা, সিক্তা রানী দে, মোসাৎ কনক লতা, বিপাশা দেবনাথ, মো. সোলেমান আহমদ, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মো. কিবরিয়া খোকন, মো. গোলাম রব্বানী, মো. জসিম উদ্দিন সরকার, কুমারী রুবী রানী সাহা, হাসান মাহমুদ, সাথি রানী বিশ্বাস, নাসরিন আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, মোসাম্মৎ জোবেদা খানম, খাদিজা আক্তার, মো. আমির উদ্দিন, সমির চন্দ্র দাস, এম এন এ চৌধুরী, মো. আমিনুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, খোকন আহম্মদ, তাইয়্যেবুনা আক্তার, সঞ্চিতা মল্লিক, মাহমুদা আক্তার, দিপালী বিশ্বাস, মো. নাজির আলম, মো. তারিক হাসান, মহেশ বিশ্বাস, মো. আব্দুল খালেক, সবিতা রানী দে, মাসুদ আহমেদ খান, মাহমুদুল হাসান স্বাধীন, লোকমান হোসেন খান, জাহিদুল ইসলাম, সালেহা আক্তার।

২০২০ সালে যোগদানকৃত নবীনদের পক্ষে প্রধান অতিথির কাছ থেকে ফুল গ্রহন করেন এনায়েত আল আমিন, মরিয়ম আক্তার ও সুলতানা বেগম। ২০২১ সালে যোগদানকৃত নবীনদের পক্ষে প্রধান অতিথির কাছ থেকে ফুল গ্রহন করেন সুমী রায়, সুবর্ণা পাল বর্ষা, প্রতিমা রাণী পাল, শাহাদাত হোসেন, তৈয়বুর রহমান, জান্নাতুল আফরোজা, পাথ সারথী দাস, মো. রুহুল আমিন ও আঞ্জুমান আরা।

 






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *