হাটখোলা ইউনিয়নে ৬ চোরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা রাস্তা ঘাটে পেলেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
সিলেট সদর উপজেলার ২ নং হাটখোলা ইউনিয়নে ৬ গরু চোরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে ইউনিয়নবাসী। শুধু তাই নয় তাদেরকে হাট বাজার অথবা রাস্তা ঘাটে পেলেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়। সভায় বক্তারা বলেন গুটিকয়েক চোর গোষ্ঠির জন্য হাটখোলা ইউনিয়নকে মানুষ চোরের ইউনিয়ন বলে সম্মোধন করে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রাম করে কিছুটা দমন হলেও বংশানুক্রমে কিছু চোর চুরি করে যাচ্ছে। যাদের কারণে বিভিন্ন জায়গায় ইউনিয়নের বদনাম ছড়াচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কঠোরভাবে এদের দমন করতে হবে। যতোদিন ইউনিয়নে চুরি ডাকাতি বন্ধ না হবে, ততোদিন আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
রোব্বার (১৩ মার্চ) বিকেলে শিবেরবাজারে ইউনিয়ন অফিস মাঠে সভায় এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা কেএম রফিকুজ্জামান।
গত ৯ মার্চ প্রতিবাদ সভায় ৩ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পন করতে সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল চোরদেরকে। কিন্তু চোররা আত্মসমর্পন না করায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী আজ আবার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করারও সিদ্ধান্ত হয় এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপির মাধ্যমে সহযোগীতা কামনা চাওয়া হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা কেএম রফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য কামরান আহমদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোসাহিদ আলী, আজির উদ্দিন, জমির উদ্দিন, সমাজসেবী এটিএম সেলিম, সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম (দারোগা), সোনাধন মিয়া, শফিকুর রহমান, সাবেক মেম্বার নিজাম উদ্দিন, আবুল বশর, শিবের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ, সাবেক মেম্বার রফিক মিয়া, মাওলানা মাহবুব আহমদ, কাজী লুৎফুর রহমান, বুরহান উদ্দিন, শফিক আহমদ মটুক, আব্দুল মন্নান, তজব আলী, সোলেমান আহমদ, ইলিয়াসুর রহমান, হাফিজ আব্দুল্লাহ, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আলী ও ইসলাম উদ্দিন, শিহাব খান শামিম।
পরিষদের ইউপি সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোবাশি^র আলী, ১নং ওয়ার্ড সদস্য সুরুজ আলী, ২ নং ওয়ার্ডের এলাই মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ডের বদর উদ্দিন, ৫ নং ওয়ার্ডের তবারক আলী ভুলু, ৬ নং ওয়ার্ডের আলকাছ আলী, ৭ নং ওয়ার্ডের মনোয়ার হোসেন লিটু, ৯ নং ওয়ার্ডের আব্দুল আহাদ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাটখোলা ইউনিয়নের সতর গ্রামে হান্দু মোল্লা নামের একজনের বেশ কটি গরু চুৃরি হয়। পরে একই ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার প্রায় ১ কোটি টাকা দামের টাইলস ওয়ালা ঘর থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। এই অভিযোগ ছাড়া ইউনিয়নের আরো একাধিক গরু চুরির অভিযোগ আসে ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাওলানা কেএম রফিকুজ্জামানের কাছে। তিনি পরিষদে বিষয়টি আলোচনা করে ইউনিয়নবাসীকে নিয়ে সমাবেশের ডাক দেন। সমাবেশে সর্বসম্মতিক্রমে পাইকরাজ গ্রামের ৬ চোরকে শনিবারের মধ্যে এলাকাবাসীর কাছে আত্মসমর্পন করতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তিনি সভায় প্রকাশ্যে ৬ চোরের নামও ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে প্রায় কোটিপতি বনে যাওয়া পাইকরাজ গ্রামের ঠান্ডা মিয়া, ছেলে ফরিদ মিয়া, কমর আলী, বাবুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও ফরিদ মিয়া রয়েছেন।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More