Main Menu

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে অতিরিক্ত মহাসচিব, দাবি না মানলে ধর্মঘট চলবে

ট্রাকশ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব বলেছেন, আমাদের দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট চলতেই থাকবে।

শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে তার ধানমন্ডির বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ট্রাকশ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের দাবির বিষয়ে কথা বলবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

‘যদি আমাদের দাবি মানা হয় তাহলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে’ বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিক দাবির কথা জানাবেন। এরপর আমাদের সঙ্গে মন্ত্রী মহোদয় আজ সন্ধ্যায় অথবা আগামীকাল রোববার আবারও বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আব্দুল মোতালেব বলেন, আজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় আমরা বৈঠক করি। বৈঠকে ধর্মঘটের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের দাবির কথা শুনেছেন এবং বলেছেন যৌক্তিক দাবিগুলো আলোচনা করে মেনে নেয়া হবে।

ট্রাকশ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ভাড়ার ওপরে প্রভাব পড়েছে। আগে ভাড়া যেখানে ছিল ১০ হাজার, সেখানে এখন ভাড়া হবে তেলসহ ১২ হাজার। তাহলে কীভাবে আমরা গাড়ি চালাবো? আমাদের লাভের যে অংশটা ছিল তা এখন তেলেই চলে যাবে। লাভ না করতে পারলে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে করবো কী? এক রুটে যদি ২০০ লিটার তেল খরচ হয় তাহলে খরচের পরিমাণ কতটা বেড়ে গেলো?

তিনি আরও বলেন, আমরা নেতৃত্ব দেই, আমরা যদি গাড়ি চালানোর কথা বলি গাড়ির মালিকরা তবুও গাড়ি চালাবেন না। কারণ এটি একটি ব্যবসা। ব্যবসা নাহলে গাড়ি কেন চালাবেন তারা?

এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো সারাদেশে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ গণপরিবহন। ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস। সেইসঙ্গে চলছে না কোনো আন্তঃপরিবহন। সারাদেশে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল পরিবহন শ্রমিক নেতাকর্মীদের অবস্থান। এদিকে পরিবহন সঙ্কটে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। এর মধ্যেই সড়কে রাজত্ব বেড়েছে সিএনজি, উবার, রিক্সা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের। যারা আজ ভাড়া হাকাচ্ছে ৪ থেকে ৫ গুণ।

শনিবার সকাল থেকে সরেজমিনে রাজধানীর ফার্মগেট, মহাখালী, শাহবাগ ও মতিঝিল ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি দ্বিতল বিআরটিসি বাস আর ব্যক্তিগত ভাড়ায় চালিত পরিবহন চলাচল করছে। চাহিদার তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক কম দেখা যায়। একটি বাস আসামাত্র চলন্ত অবস্থায় যাত্রীরা উঠার চেষ্টা করতে থাকেন। পুরুষরা বাসে উঠতে পারলেও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে উঠতে ব্যর্থ হন নারী ও বয়স্করা। এর মধ্যে ভিড়ের কারণে যাত্রীদের বাস থেকে নামাও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

জানা যায়, গত বুধবার ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার এলপিজির দাম কেজিতে সাড়ে ৪টাকা হারে বাড়িয়ে ১০৬ টাকা ১৯ পয়সা করা হয়। বাড়ানো হয় পরিবহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও। চলতি নভেম্বর মাসের জন্য প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৫৮ দশমিক ৬৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬১ দশমিক ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে হঠাৎ ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম বাড়ায় দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হয়েছে- সরকারের এই দাবি যৌক্তিক নয় বলেও মনে করছেন তারা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *