Main Menu

সিসিকের ৮৩৯ কোটি ২০ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষনা

সিসিক মেয়র বাজে বক্তৃতায় বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পূর্বের আয়তন ছিল মাত্র ২৬.৫০ বর্গ কিলোমিটার। স¤প্রসারণের পর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মোট আয়তন হয়েছে ৫৯.৫০ বর্গ কিলোমিটার। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ৩৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাথে সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২৮টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সুতরাং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এলাকা বর্ধিতকরণের অর্থ হচ্ছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাজের পরিধি ও ব্যপ্তি এখন আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এটি আমাদের জন্য নতুন একটি চ্যালেঞ্জ।
আরিফুল হক চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, সিলেটের কৃতিসন্তান, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী, মরহুম এম সাইফুর রহমানের সাথে র্দীঘদিন একনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এম সাইফুর রহমান উন্নয়নের প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন, ছিলেন দলমতের উর্ধ্বে। তাঁর সেই আদর্শকে ধারণ করে রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে উঠে উন্নয়ন কাজে মনোনিবেশ করেছি এবং সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সিলেট মহানগরীর উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব, সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেটপ্রেমী ব্যক্তিত্ব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, সিলেটের উন্নয়নে নিবেদিত প্রান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন যাত্রার অন্যতম সহযোগী হিসেবে সিলেটের বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ সহ এই মহানগরীর উন্নয়ন ও কর্মকান্ড বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সহযোগী প্রশাসন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিসিক মেয়র।
বাজেট বক্তৃতার শুরুতে বিশ্বে করোনা মহামারিতে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেন সিসিক মেয়র।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারী পুরো বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি যত স্বাভাবিক হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কাজও ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে, যা নগরবাসী হিসেবে আপনারা প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করছেন। যার ফলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দেশের সকল সিটির মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এই গৌরব অর্জন করেছে সিসিক। এছাড়াও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের ২০ টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এজন্য সিলেটকে অভিনন্দন স্মারক ও সনদ প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
বাজেট বক্তৃতায় সিসিক মেয়র বলেন, বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
সিসিক মেয়র বলেন, সীমিত জনবল ও অনেক সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রত্যেকটি কর্মী যেভাবে ঝুঁকি উপেক্ষা করে করোনা মোকাবেলায় নিজেদের সর্বোচ্চটুকু উজার করে কাজ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন সেজন্য আমি তাদের জন্য গর্ব অনুভব করি। বিশেষ করে এবার করোনার টিকাদান কর্মসূচীতে যেভাবে তারা হাজার হাজার মানুষের চাপ সামলে প্রচন্ড ধৈর্য্য ধারণ করে কাজ করেছেন তা আমাকে আশ্বানিত করেছে। কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সর্বমোট (৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত) ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে ।
এ লক্ষ্যে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই ২টি জেট স্যাকার গাড়ী ও পানির ট্যাংকি, মটরপাম্পসহ স্প্রেগান সংযুক্তির মাধ্যমে ৪টি পিকআপ ভ্যানের দ্বারা জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। নগরীর কাঁচাবাজারে প্রতিনিয়ত তরলকৃত বিøচিং পাউডার প্রয়োগ করা হয়েছে। সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দের মাধ্যয়ে ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগের জন্য ফিনাইল ও বিøচিং পাউডার বিতরণ করা হয়েছে। বস্তিবাসী ও হতদরিদ্র লোক ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, ড্রাইভার, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে মাস্ক ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা ইউনিটের জন্য ১টি গভীর নলকূপ স্থাপন, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য ৪টি বেসিন স্থাপন এবং পরিবহনের জন্য ১টি মাইক্রোবাস প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে হেপাফিল্টার স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, ওসমানী হাসপাতালের নবনির্মিত ইউনিটে যাতে দ্রæততম সময়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপন এবং অক্সিজেন সংকট ও আইসিইউ বেড সংকট মোকাবেলায় আশু করণীয় বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে গৃহিত পরামর্শ ও প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রেরণ করেছি। এছাড়াও জনগুরুত্ব বিবেচনায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের লক্ষ্যে দ্রæততম সময়ের মধ্যে টেন্ডার আহবান করেছি। করোনা মহামারীতে মৃতুবরণকারী সকল মরদেহ গোসল করানো, দাফন এবং সৎকারে সিলেট সিটি কর্পোরেশন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছে।
এছাড়া ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মশার লার্ভা অনুসন্ধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, যা চলমান আছে।
সিসিক মেয়র বাজেট বক্তৃতায় বলেন, গত অর্থবছরে করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষকে সাহায্যার্থে সরকারী ও বেসরকারী সাহায্যে  দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা প্রায় ৭৭ হাজার ১শ ৫০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিতে পেরেছি। এবার করোনার কারণে কঠোর লকডাউন চলাকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দের স্বত:ফ‚র্ত সহযোগিতায় মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের সর্বমোট ২২ হাজার অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফান্ডের পাশাপাশি এই মানবিক কার্যক্রমে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ ৬০ লাখ টাকা এবং ১শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় সিসিক মেয়র বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আমরা সিলেটে বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণের পথে একধাপ এগিয়ে গেছি। প্রায় ১৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ২৫তলা বিশিষ্ট এই কমার্শিয়াল হাবের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সিলেট মহানগরীর ব্যবসা বাণিজ্যে অভ‚তপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়েল ট্রাস্টের সভাপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন প্রদান করায় এই পুণ্যভ‚মির নাগরিকদের পক্ষ থেকে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই কমপ্লেক্সে থাকবে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, বঙ্গবন্ধু প্লাজা, হেরিটেজ মার্কেট, কমার্শিয়াল হাব, শেখ রাসেল পার্ক, কনভেনশন সেন্টার, অডিটরিয়াম, ফেয়ার প্লেস সহ নানাবিধ সুবিধা।
বাজেট বক্তৃতায় উন্নয়ন কাজ বিষয়ে মেয়র বলেন, সিলেট নগরীজুড়ে ৭৭ কিলোমিটার ছড়া ও খাল প্রবাহমান আছে, যার মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ৪৫ কিলোমিটার ছড়া ও খাল উদ্ধার এবং সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কমপক্ষে আরও ১০ কিলোমিটার ছড়া ও খাল উদ্ধার ও প্রশস্তকরণ করে সংরক্ষণ করলে সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতার পরিমান আরও কমে আসবে। বর্তমানে পূর্বের তুলনায় মহানগরীর ৭৫-৮০ শতাংশ এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত হয়েছে। সুরমা নদীর পানির কারণে প্লাবনজনিত জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী এখনো মুক্ত হননি। তিনি বলেন, সুরমা নদী ড্রেজিং করা হলে পুরো নগরীর প্লাবনজনিত জলাবদ্ধতার শতভাগ সমাধান সম্ভব।
মহানগরীর সর্ববৃহৎ কদমতলী বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ এখন দ্রæতগতিতে চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কাজ সমাপ্ত করার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আধুনিকায়ন কার্যক্রমের ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে কাজ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ জুন মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এদিকে ট্রাক টার্মিনালের জন্য আমরা আরো ৬১ শতক জায়গা অধিগ্রহণ করেছি যা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।
রাস্তা পারাপাারে ঝুঁকি এড়াতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবার টিলাগড় পয়েন্টে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। এই ফুটওভারব্রিজ শিগগিরই উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন এটি উদ্বোধন করবেন বলে আমরা আশা করছি।
এছাড়াও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন স্থানে ও হুমায়ুন রশীদ স্কোয়ারে চলতি মেয়াদে আমরা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষার উন্নয়নে সিসিকের উদ্দ্যোগ নিয়ে মেয়র বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনাধীন স্কুলগুলো হচ্ছে আখালিয়ায় অবস্থিত বীরেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, চৌহাট্টায় অবস্থিত ভোলানন্দ নৈশ উচ্চ বিদ্যালয়, বাগবাড়িতে অবস্থিত বর্ণমালা সিটি একাডেমী এবং চারাদিঘিরপারে অবস্থিত সিটি বেবী কেয়ার একাডেমি। সিলেট নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা একটি নতুন স্কুল করার পরিকল্পনা নিলেও করোনা মহামারীর কারণে এখনও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে ইতোমধ্যে জমির ব্যবস্থা হয়ে গেছে, স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে হযরত সৈয়দ নাসির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। করোনাকালের অবসানের পর সবকিছু আবার স্বাভাবিক হলে এই স্কুলটির কাজ আমরা দ্রæত শুরু করতে চাই। এছাড়াও শিক্ষার প্রসারে সিলেট মহানগরীতে আরও কী কী উদ্যোগ গ্রহন করা যায় সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা দুইজন শিক্ষা উপদেষ্টা নিয়োগ সম্পন্ন করেছি। করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পর তাদের পরামর্শ নিয়ে আমরা শিক্ষার প্রসারেও সময় উপযোগী উদ্যোগ বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সিসিক মেয়র বলেন, পরিবেশকে দুষনমুক্ত করার জন্য সিলেট মহানগরীর প্লাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা এখন সময়ের দাবি। এজন্য প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তাদের সমীক্ষভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করেছে। এক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এফআইভিডিবি ও আমাল ফাউন্ডেশন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রিজম বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এবং সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ক্লিনিক্যাল ও মেডিকেল বর্জ্যকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডাম্পিং করার জন্য অটোক্ল্যাপ প্রযুক্তির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ সুরমার লালমাটিয়ায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন স্যানেটারী ল্যান্ডফিল নির্মাণ কাজের ৪৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। করোনা মহামারীর পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক এই কাজের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন।
সিসিক মেয়র বলেন, ভারত সরকারের অনুদানে নগরীতে চলমান তিনটি প্রকল্পের মধ্যে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে স্থবিরতার কারণে ধোপাদিঘীর পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প এখনো সম্পন্ন হয়নি। তবে এখন এই প্রকল্পের কাজও দ্রæতগতিতে চলছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে। ভারতীয় সরকারের অনুদানে বাস্তবায়িত অপর দুটি প্রকল্প হচ্ছে চারাদিঘীরপাড়ে বহুতল স্কুল ভবন ও মহানগরীর কাষ্টঘরে সুইপার কলোনীর বহুতল ভবন।
সিলেট মহানগরীর সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার প্রসঙ্গের শুরুতেই আমি দুটি সড়ক নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এদের মধ্যে একটি সড়ক হচ্ছে টিলাগড় পয়েন্ট থেকে শিবগঞ্জ-মীরাবাজার-নাইওরপুল সড়ক এবং অপরটি হচ্ছে আম্বরখানা থেকে শাহী ঈদগাহ পর্যন্ত সড়ক। এই দুটি রাস্তা সড়ক ও জনপথের আওতাধীন।
যদিও এই রাস্তা সড়ক প্রশস্তকরণ ও ড্রেন নির্মাণকাজ সিলেট সিটি কর্পোরেশন সম্পন্ন করেছে। এই সড়ক দুটির সংস্কার করা জরুরী বিবেচনা করে সিটি কর্পোরেশন আগামী মাস থেকে দ্রæতগতিতে কাজ শুরু করবে। এজন্য ২২ কোটি টাকার টেন্ডারও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
সড়ক প্রশস্তকরণের ক্ষেত্রে চৌহাট্টা টু জিন্দাবাজারের সড়কের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, চৌহাট্টা টু আম্বরখানা অভিমুখী সড়কও প্রশস্তকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, বর্তমানে এই সড়কের শেষ মুহুর্তের কাজ সম্পন্ন হবে। এই সড়কের কাজ শেষ হলে জিন্দাবাজার টু আম্বরখানা পর্যন্ত সড়কটি একটি দৃষ্টিনন্দন সড়ক হিসেবে নগরবাসীর সামনে দৃশ্যমান হবে বলে আমরা আশাবাদী। এছাড়াও নগরীতে চলমান অন্যান্য সড়ক প্রশস্তকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজও যথাশীঘ্র সম্পন্ন হবে।
মেয়র বলেন, হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থান আধুনিকায়ন ও সংস্কারকাজ দ্রæত গতিতে চলছে। শতশত বছর ধরে এই টিলায় দাফনকাজ করা হলেও এতদিন থেকে এই কবরস্থানটি আধুনিকায়ন কেউ করেনি। বর্তমানে টিলাতে ১৮শ কবর দেওয়ার উপযোগী হলেও সংস্কারের পর এখানে ৩ হাজারেরও বেশি কবরের জায়গা হবে। ৮টি বøকে নির্ধারিত এই আধুনিকায়ন কাজ সম্পন্ন হলে পুরো জায়গাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি কবরবাসীর স্বজনরা একেবারে প্রতিটি কবরের একেবারে সন্নিকটে যাবার সুযোগ পাবেন।
ভ’গর্ভস্থ বিদ্যুতায়ন নিয়ে মেয়র বলেন, সিলেট মহানগরীতে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণ তার-এর জঞ্জাল সরানো এবং নিরাপদ বিদ্যুতায়নের লক্ষে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মাণের কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এই কাজ বাস্তবায়ন করছে পিডিবি এবং সহযোগী হিসেবে আছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এই পর্যন্ত সিটি এলাকায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে শাহী ঈদগাহ, শাহী ঈদগাহ-কুমারপাড়া-নাইওরপুল সড়ক, নাইওরপুল-হাফিজ কমপ্লেক্স হয়ে-বন্দরবাজার সড়ক, চৌহাট্টা-কুমারপাড়া সড়ক, নয়াসড়ক-জেলরোড সড়ক, নয়াসড়ক-কাজীটুলা সড়ক, নাইওরপুর-সুবহানীঘাট-উপশহর-শিবগঞ্জ সড়ক, সুরমা মার্কেট-শেখঘাট জিতু মিয়া পয়েন্ট-লামাবাজার-রিকাবীবাজার সড়ক, জেলরোড-বন্দরবাজার সড়কগুলোতে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মাণকাজের জন্য প্রস্তাবনা তৈরী করা হয়েছে। এই আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলের দৈর্ঘের পরিমান হবে প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন সম্প্রসারণ হচ্ছে। এই বাস্তবতায় সিলেটে পানি উৎপাদন ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পানি সরবরাহ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারি নদীতে ৫ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রায় ৭শ ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য বড়শালায় ১৩ একর জায়গা অধিগ্রহণসহ প্লান্ট নির্মাণের ডিপিপি মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তোপখানা পানি শোধনাগারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বোতলজাত করে বিক্রয় প্রকল্পটির জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য স্থানীর সরকার বিভাগে পত্র দেওয়া হয়েছে। এবার সিটি এলাকায় নতুন ৫ কিলোমিটার পানির লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫ কিলোমিটার পানির লাইন সংস্কার করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, সিলেটে অল্পদিনের ব্যবধানে একাধিকবার ভ‚কম্পন হয়েছে এবার। যাকে বিশেষজ্ঞরা চরম উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এক্ষেত্রে নগরবাসীকে সচেতন করার পাশাপাশি সিলেট মহানগরীর ঝুকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত ও আশু করণীয় নিয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠনকৃত টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেব। ভ‚মিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্ট এর আওতায় নগরীতে ইমারজেন্সী অপারেশন সেন্টার নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ৫টি ইমার্জেন্সি বেজ স্টেশন স্থাপন করা হবে আপদকালীন সময়ে নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখার জন্য।
ওয়াকওয়ে নির্মান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে সম্মানিত নাগরিকরা যাতে অন্তত একটু হাঁটতে পারেন সেজন্য আমরা বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। তাদের মধ্যে কয়েকটি পরিকল্পনার বাস্তবায়নও চলছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে গোয়াবাড়িতে এবং উপশহরে নান্দনিক ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে আছে। এছাড়াও সিলেটের জল্লারপাড়ে জল্লারখালকে কেন্দ্র করে একটি দৃষ্টিনন্দন জায়গা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এমসি কলেজের মাঠের চারপাশ ঘিরে এবং সাগরদিঘীরপাড়ের প্রবাহমান ছড়াকে কেন্দ্র করে নান্দনিক ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, আমার একটি স্বপ্ন ছিল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। চলতি বছর শেভরণ ও সুইস কন্টাক্টের যৌথ উদ্যোগে ‘উত্তরণ’ প্রকল্পের আওতায় সিলেট মহানগরীর চৌহাট্টায় ভোলানন্দ নৈশ বিদ্যালয় ভবনে এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হবে। এখান থেকে প্রতিবছর ১২শ জন প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ওয়েল্ডিং, প্লাম্ববিং, ইলেকট্রিকেল ইন্সটলেশন ও মেইনটেইনেন্স, পাইপ ফিটিং ও হাউস কিপিং কোর্স পরিচালনা করা হবে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু দেশে নয়, বিদেশে গিয়েও একজন তরুন তার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবে। এখান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনশক্তি বিদেশে গিয়ে কাজ করলে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আয়ও করতে পারবেন।
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, সিলেটে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফ্রি ওয়াইফাই জোন কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এই কাজ যারা বাস্তবায়ন করেছে তারা এই প্রকল্পটি সিলেট সিটি কর্পোরেশন বরাবরে সমঝে দিয়েছেন। এছাড়াও আমাদের সিটি কর্পোরেশন আইসিটি ক্ষেত্রে প্রভ‚ত অগ্রগতি সাধণ করেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-
* ই-নথি – সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ই-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অফিসের বিভিন্ন নথি ও ডাক এর কার্যক্রম ই-নথির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ই-নথি সফল ভাবে বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
* ই-টেন্ডার – সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন দরপত্র বর্তমানে ই-টেন্ডার এর মাধ্যমে আহবান করা হচ্ছে।
* অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স – সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বর্তমানে অনলাইনে সম্পাদিত হচ্ছে। ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে প্রাপ্তি ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ফি প্রদানের সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
* অনলাইন এসেসমেণ্ট এবং হোল্ডিং ট্যাক্স – হোল্ডিং ট্যাক্স অন লাইনে প্রাপ্তি ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ফি প্রদানের সিস্টেম তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গ্রাহক ঘরে বসেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স ফি পরিশোধ করতে পারেন।
* নগর মোবাইল অ্যাপস – সিলেট সিটি কর্পোরেশনে “নগর মোবাইল অ্যাপ”নামে একটি অ্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো পরামর্শ ও দূর্নীতির অভিযোগ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো যায়। এছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে কাছের হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, মসজিদ, এটিএম বুথ ইত্যাদি খোঁজে পাওয়া যায়। নগর অ্যাপে আরো আছে মেয়র, কাউন্সিলর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগনের মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য। এছাড়া অনলাইন বিল সংক্রান্ত গ্রাহক আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একজন নাগরিক অ্যাপটিতে লগ ইন করে তার বিল এর হাল নাগাদ তথ্যও পেতে পারেন।
* অনলাইন পানির বিল – ম্যানুয়েল পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে পানির বিল অনলাইনে প্রাপ্তি ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রদানের সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
* অনলাইন জন্ম নিবন্ধনঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন করা হচ্ছে।

দক্ষিণ সুরমায় বহুল প্রতীক্ষিত জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুপার্কের রাইড স্থাপন প্রকল্প চলমান আছে। শীঘ্রই এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। পরবর্তীতে পরিচালনার জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে। এছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এসপল্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ডিপিপি স্থানীয় মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এসপল্প প্লান্ট সংলগ্ন স্থানে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যেও জমি অধিগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। কুমারপাড়ায় নগর মাতৃসদন ও ডায়গনস্টিক সেন্টার স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে এবং এই প্রকল্পের ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সুরমা নদীর উত্তর তীর ঘেষে সার্কিট হাউসের সম্মুখ হতে বোরহান উদ্দীন সড়ক পর্যন্ত রিটেইনিং ওয়াল ও ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন সম্পন্ন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে চারটি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৪টি পৃথক পৃথক খেলার মাঠ ও ৪টি পৃথক পৃথক গরুর হাটের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের স্থায়ী অফিস স্থাপনের পূর্বে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড অফিস স্থাপনের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। সিলেট মহানগরীর সুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যানের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই জমি অধিগ্রহণের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে।

সিসিক মেয়র বলেন, সিলেট নগরীর সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে অধিকতর সুযোগ সুবিধা ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবার সর্বমোট ৮৩৯ কোটি ২০ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাত গুলো হলো হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৪ কোটি ৯২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্থান্তরের উপর কর ৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃ নির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার উপর কর ৬ কোটি ৫০ পঞ্চাশ লক্ষ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৯০ লক্ষ টাকা, ঠিকাদারী তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৫৫ লক্ষ টাকা, ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১৭ লক্ষ টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ কোটি টাকা, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৬০ লক্ষ টাকা, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৫০ লক্ষ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফিস বাবদ ৮০ লক্ষ টাকা, নলকুপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। সম্মানীত নগরবাসী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য বকেয়া পাওনা পরিশোধ করলে বাজেট বছরে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব খাতে সর্বমোট ৮২ কোটি ২৩ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।
সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ১০ কোটি টাকা, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরী খাতে ৩১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, অন্যান্য প্রকল্প মঞ্জুরী বাবদ ১ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ৯০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ১৩০ কোটি টাকা, সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় (২০১৮ সনে) ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২৮ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা, সিলেট মহানগরীর নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২৬ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা, নগর ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এসফল্ট প্লান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ খাতে ৩০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফিলিং ষ্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের প্লাষ্টিক রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, তোপখানা পানি শোধনাগার এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বোতলজাত করে বিক্রয় প্রকল্প খাতে ৩০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, উৎপাদন নলকুপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সুরমা নদীর উত্তর তীর ঘেষে সার্কিট হাউসের সম্মুখ হতে হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত রিটেইনিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি গরুর হাট নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন খাতে ২০ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাজার, কবরস্থান, শশ্মান ঘাট, ঈদগাহ উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা, ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর গণের স্থায়ী অফিস স্থাপন প্রকল্প ২ কোটি টাকা, ভারতীয় অনুদানের সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নত পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন এলাকার অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ ও পূর্ত কাজের পাওনাদী পরিশোধের জন্য বরাদ্দ বাবদ ৫ কোটি টাকা, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের আওতায় ঊঙঈ নির্মান প্রকল্প ৫ লক্ষ টাকা, সিলেট মহানগরীর সুয়ারেজ মাস্টার প্লান এর ফিজিবিলিটি ষ্টাডিকরন প্রকল্প ৫ কোটি টাকা, ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য ১৩.১৩ একর জমি অধিগ্রহন ৫ কোটি টাকা, আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, নগরীর বস্তি সমুহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত সালামী ও সিটি কর্পোরেশন আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যায় গ্রহণ বাবদ মোট ৪৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
বাজেটে রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৮০ কোটি ৫৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তন্মধ্যে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা, শিক্ষা ব্যয় খাতে ৬ কোটি ৮ লক্ষ টাকা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান খাতে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্য ও প্রয়ঃপ্রণালী খাতে ব্যয় বাবদ ১৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ খাতে ব্যয় ৫০ লক্ষ টাকা, বৃক্ষ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় খাতে ২০ লক্ষ টাকা, মোকদ্দমা ফি ও পরিচালনা ব্যয় বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা, জাতীয় দিবস উদযাপন ব্যয় খাতে ৭০ লক্ষ টাকা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন ব্যয় খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি ব্যয় খাতে ১৫ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্ণামেন্ট ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ব্যাটমিনটন টুর্ণামেন্ট ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লক্ষ টাকা, রিলিফ/জরুরী ত্রাণ ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, আকষ্মিক দুর্যোগ/বিপর্যয়/করোনা ব্যয় বরাদ্দ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, রাস্তা আলোকিত করন ব্যয় বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা, কার্যালয়/ভবন ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, নিরাপত্তা/সিকিউরিটি পুলিশিং ব্যয় খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, ডিজিটাল মেলা আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লক্ষ টাকা। অনান্য ব্যয় খাতে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া পানি সরবরাহ শাখার সংস্থাপন ব্যয় সহ পানির লাইনের সংযোগ ব্যয়, পাম্প হাউজ, মেশিন, পাইপ লাইন মেরামত ও সংস্কার সহ সর্বমোট ১২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেটে রাজস্ব খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় বাবদ মোট ২৮ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে রাস্তা নির্মাণ, রাস্তা মেরামত/সংস্কার, ব্রীজ/কালভার্ড নির্মাণ, ব্রীজ/কালভার্ড মেরামত/ সংস্কার, ড্রেন নির্মাণ/মেরামত, সরঞ্জাম যন্ত্রপাতি ও সম্পদ ক্রয়, সিটি কর্পোরেশনের ভবন নির্মাণ/মেরামত, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ষ্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ ও সংস্কার, ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব লিঁয়াজো অফিসের জন্য ফ্ল্যাট ক্রয়, কসাই খানা নির্মাণ/ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা উন্নয়ন, সিটি কর্পোরেশনের যানবাহন রক্ষায় গ্যারেজ নির্মাণ, সিটি কর্পোরেশনের যানবাহন রক্ষণ-বেক্ষনে ওয়ার্কসপ নির্মাণ, হাট বাজার উন্নয়ন, বাস টার্মিনাল সংস্কার ও উন্নয়ন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাঠাগার নির্মাণ, নাগরিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গভীর নলকুপ স্থাপন, এমজিএসপি প্রকল্পের রক্ষনাবেক্ষন কাজের নিজস্ব অর্থ ব্যয়, সিটি কর্পোরেশনের জন্য জীপ গাড়ী ও ২টি আধুনিক এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় এবং নারীদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহন ব্যয়সহ ইত্যাদি ব্যয় উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ব্যয় ১০ কোটি টাকা, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরী খাতে ব্যয় ৩১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, অন্যান্য প্রকল্প মঞ্জুরী বাবদ ব্যয় ১ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ৯০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ১৩০ কোটি টাকা, সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় (২০১৮ সনে) ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২৮ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা, সিলেট মহানগরীর নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২৬ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা, নগর ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের এসফল্ট প্লান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ খাতে ৩০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফিলিং ষ্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের প্লাষ্টিক রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, তোপখানা পানি শোধনাগার এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বোতলজাত করে বিক্রয় প্রকল্প খাতে ৩০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, উৎপাদন নলকুপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সুরমা নদীর উত্তর তীর ঘেষে সার্কিট হাউসের সম্মুখ হতে হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত রিটেইনিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি গরুর হাট নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন খাতে ২০ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাজার, কবরস্থান, শশ্মান ঘাট, ঈদগাহ উন্নয়নে ব্যয় ১০ কোটি টাকা, ২৭-টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর গণের স্থায়ী অফিস স্থাপন প্রকল্প ২ কোটি টাকা, ভারতীয় অনুদানের সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নত পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন এলাকার অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ ও পূর্ত কাজের পাওনাদী পরিশোধের জন্য বরাদ্দ ব্যয় বাবদ ৫ কোটি টাকা, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের আওতায় ঊঙঈ নির্মাণ প্রকল্প ৫ লক্ষ টাকা, সিলেট মহানগরীর সুয়ারেজ মাস্টার প্লান এর ফিজিবিলিটি ষ্টাডি করন প্রকল্প ৫ কোটি টাকা, ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য ১৩.১৩ একর জমি অধিগ্রহন ৫ কোটি টাকা, আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, নগরীর বস্তি সমুহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ ও সিটি কর্পোরেশন আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় বাবদ মোট ৪৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
বাজেট ঘোষনা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর আজম খান, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান, কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর ছয়ফুল আমীন বাকের, কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান, কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক, আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, কাউন্সিলর এসএম শওকত আমীন তৌহিদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সালমা সুলতানা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নাজনিন আক্তার কনা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা সাকি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকি ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, সচিব, ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট সুনন্দা রায়, সিসিকের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান পরামর্শক সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহ. হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি সহ সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *