মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সেই ভূয়া ‘এপিএস’ শান্তা চৌধুরী স্বামীসহ গ্রেফতার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদের এপিএস পরিচয়ে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আতিক হোসেন ওরফে জয় ও মলি আক্তার ওরফে শান্তা চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকালে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শান্তা চৌধুরীর (santa chowdhury) ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেখতে পান। তাতে লেখা ছিল, ‘ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকে। আমাকে ২ বছরের জন্য এপিএস হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য’। প্রকৃতপক্ষে, শান্তা চৌধুরী নামের কাউকে মন্ত্রী চেনেন না এবং তার এপিএস হিসেবে নিয়োগও দেননি।
শান্তা চৌধুরী তার আইডি থেকে মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে।
এ ঘটনায় সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
যুগ্ম কমিশনার বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজশাহী থেকে আতিক ও শান্তাকে গ্রেফতার করে। তারা স্বামী-স্ত্রী। তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা তথ্যপ্রযুক্তিতে বেশ পারদর্শী। তারা প্রতারণার উদ্দেশে বিভিন্ন ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর এপিএস দাবি করে। চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন লোকজনের নিকট মোটা অংকের টাকা চায় এবং তাদের মোবাইলে অসংখ্য ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। এসব ফেক আইডি দিয়ে তারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক আগ্রহী প্রার্থীদের টার্গেট করতো। এ ধরনের প্রতারণা করে তারা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
তিনি জানান, শান্তা মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তবে প্রতারণা রপ্ত করেছেন ভালো করেই। তারা তিন বছর ধরে এভাবে প্রতারণা করছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।-বাংলা ট্রিবিউন
Related News
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগরে কবরস্থানের জমি উদ্ধার করলেন ইউএনও
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবেরবাজার এলাকায় অবস্থিত বাজারতল কবরস্থানের জমি অবৈধভাবে দখল করে সেখানেRead More
সিলেট জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন স্থগিত: হাইকোর্টের রুল জারি
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন (SDFRA)-এর ২০২৫–২০২৯ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়া ছয়Read More

