করোনাকালের দ্বিতীয় বাজেট পাস

করোনাকালীন সংকটের মধ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো নতুন অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বুধবার সকাল ১১ টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় বাজেট পাস হয়।
এর আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা বাজেট অধিবেশনে ৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরি দাবি তুলে ধরেন। কয়েকজন সংসদ সদস্যের ছাঁটাই প্রস্তাব নিষ্পত্তির পর নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২১ পাস হয়। এর মাধ্যমে শেষ হয় নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস কার্যক্রম। ৩০ জুনের মধ্যে বাজেট পাসের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও রক্ষা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আজই এতে সম্মতি দেবেন। আগামীকাল ১ জুলাই নতুন অর্থবছর থেকে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। ৩ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ অধিবেশনে দীর্ঘ আলোচনা হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হবে এ বাজেট।
এবারের বাজেটে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রাধিকার পেয়েছে। বাজেটটি করা হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যখাতকে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন, কৃষিখাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অর্থবিলে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
Related News

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরRead More

কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’Read More