আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নারী নিহত

অনলাইন ডেস্ক;
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। রোববার সকাল ৭টার দিকে সাভারের আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নতুন ইপিজেড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ঢাকা ইপিজেডের লেনী ফ্যাশনের শ্রমিকরা।
এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এ সময় ইপিজেডের গোল্ডটেক্স কারখানার জিয়াস নামে এক নারী শ্রমিক নিহত ও অন্তত পাঁচ শ্রমিক আহত হন। জানা গেছে, পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারা গেছেন ওই নারী শ্রমিক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন ইপিজেড এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, সকালে লেনী ফ্যাশন কারখানার কয়েকশ শ্রমিক বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নতুন ইপিজেডের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় তারা সড়কে চলাচলরত গাড়িতে ইটপাটকেল মেরে ভাঙচুর করেন। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
পরে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা সরেনি। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ৪-৫ মাসের বকেয়া বেতন না দিয়ে কারখানায় তালা মেরে দেয়। তাই শ্রমিকরা তাদের পাওনার জন্য বেপজার গেটের সামনে বিক্ষোভ করে। পুলিশ এতে বাধা দিয়ে শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও জলকামান দিয়ে পানি মারে।
এ সময় পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় জেসমিন নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারা আরো জানান, লেনী ফ্যাশনের ছয় হাজার শ্রমিক এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শ্রমিকরা যাতে তাদের বকেয়া বেতন পান, তার ব্যবস্থা যেন বেপজা কর্তৃপক্ষ করে।
শিল্প পুলিশ ১-এর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইপিজেডের লেনী ফ্যাশনের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার অনেকবার চেষ্টা করে পুলিশ। তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ও গাড়ি ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাস্তা ক্লিয়ার করেছে। এ সময় পুলিশ হালকা কাঁদানে গ্যাস ও পানি ছিটিয়ে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন, ‘লেনী ফ্যাশন কারখানার মালিক একজন ভারতীয়। অনেক দিন আগে থেকেই করোনার কারণে মালিক ফ্যাক্টরিতে আসেন না। কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা করতে হবে।
Related News

সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজসেবায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আকবর আলীকে সাউথ এশিয়ান এক্সিলেন্স এর অ্যাওয়ার্ড প্রদান
সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃRead More

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরRead More