Main Menu

সিলেট ওসমানী হাসপাতালে জন্মাবধির শিশুদের কানে যন্ত্র স্থাপন করা যাবে

সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। জন্ম থেকে যে সকল শিশুরা কানে শুনতে পারে না তাদের জন্য বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’ শুরু হবে।

এই প্রজেক্টের মাধ্যমে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের কানে অপারেশনের মাধ্যমে ‘ক্লকিয়ার ইমপ্ল্যান্ট নামক যন্ত্র স্থাপনের কাজ এ মাসে শুরু হচ্ছে। পরে স্পিচ থেরাপি, অডিও ভারভাল থেরাপি দিয়ে তাকে কথা শোনার উপযুক্ত করে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় নাম তালিকাভুক্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোন সরকারি হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’-এ অংশগ্রহণকারী ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য আয়োজিত ৩দিনব্যাপী ওয়ার্কশপে এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করা হয়। এতে ৩০ জন ডাক্তার ও নার্স অংশগ্রহণ করেন।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ডিন প্রফেসর ডা. মো. ময়নুল হক প্রধান অতিথি হিসাবে ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করেন ।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রফেসর ডা. মনিলাল আইচ-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. জহুরুল হক সাচ্চু। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’-এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বিশিষ্ট নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নূরুল হুদা নাঈম।

ডা. অরুপ রাউথ ও ডা. তাহমিনা সিদ্দিকা মৌসুমীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. পরিতোষ কান্তি তালুকদার ও এনেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. খায়রুল বাশার।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. বিপ্লব কুমার রায়, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মোজাম্মেল হক ফারুক, পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো: ফয়েজ উদ্দিন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা.যোগীন্দ্র সিংহ, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইমাদ হোসেন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা.মুখলেসুর রহমান শামীম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কাইয়ুম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহ কামাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. কৃষ্ণকান্ত ভৌমিক, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বিচিত্র কুমার দে, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. দেবাশীষ বসু, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাফি আহমেদ খান, রেজিষ্টার ডা. সুশান্ত সিংহ,ডা. আসিফ আল মেহেদি, ডা. মাসুম বিল্লাহ, ডা. হাসান আতিক চৌধুরী, ডা. মিশকাত রায়হান, ডা. হাবিবুর রহমান, ডা, মোবাশ্বির, সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবেদা খানম ও সিনিয়র স্টাফ নাস খাদিজা বেগম ও সিনিয়র স্টাফ নাস মহেশ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এম নূরুল ইসলাম ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. ময়নুল হক বলেন, চিকিৎসকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে কাজ করে থাকেন। জন্ম থেকে যে সকল শিশুরা কানে শুনতে পারে না তাদেরকে ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস স্থাপনের মাধ্যমে শোনার ব্যবস্থা করে তাদের নতুন জীবন প্রদান করা হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পেশাগত উন্নতির পাশাপাশি দেশের মানুষের উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কাজ করলে আমরা উন্নতির শিখরে এগিয়ে যাব।

স্বাগত বক্তব্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’-এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বিশিষ্ট নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নূরুল হুদা নাঈম বলেন, জুন মাসের মধ্যে ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম’ শুরু হবে। ঢাকার বাইরে সিলেটে এই কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ইতিহাসের সূচনা হবে । সরকারের একটি ঐতিহাসিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেটের মানুষ উপকৃত হবে। শুধু জন্ম বধির শিশুরা নয় অধুর ভবিষ্যতে মারাত্মকভাবে বধির বয়স্কদের কানে এ যন্ত্র স্থাপন করা যাবে।

জন্ম থেকে যে সকল শিশুরা কানে শুনতে পারে না তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলায় ৭নং ইএনটি ওয়ার্ড সংলগ্ন ৪০৮ নং রুম থেকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে নির্দিষ্ট ফরম সংগ্রহ করে এ সেবা গ্রহণের আহবান জানান ডা. নূরুল হুদা নাঈম।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *