খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করলেন তথ্যমন্ত্রী

করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। আমি তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। করোনাকে পরাভূত করে তিনি আবার সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান, এটিই মহান স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা।’
মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট হতে ২০২০-২১ অর্থবছরের সহায়তা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্র সবার জন্য। যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেন, তিনি যদি দুঃস্থ হন, আমাদের নীতিমালার মধ্যে পড়েন, এই সহায়তা তার জন্যও উন্মুক্ত এবং এটি আমরা বাস্তবায়ন করেছি।’
আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে, উন্নয়নশীল দেশে তা নজিরবিহীন। দেশের স্বার্থে, বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়া ও রাষ্ট্রের বিকাশের স্বার্থে এটি প্রয়োজন, সে বিশ্বাস নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় তার উদ্যোগে রমজানের পূর্বে দেয়া করোনাকালীন বিশেষ বরাদ্দ ২ কোটি টাকা ঈদের আগে সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
গণমাধ্যম নিয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে নানা সমালোচনা করা হয়। কেউ কেউ বিবৃতি দেয় আবার কেউ কেউ জাতিসংঘের কাছে চিঠি লেখে। সেই চিঠি লেখা আর বিএনপির বিবৃতি আসলে এক সূত্রে গাঁথা ও এগুলো বৃহত্তর রাজনীতির একটা অংশ ছাড়া কিছু নয়।’
বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনার চিকিৎসা সব দেশে একইরকম এবং আমাদের দেশের চিকিৎসা অনেক ভালো। তাই করোনা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তার বক্তৃতায় সাংবাদিকদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের একাগ্রতার কথা তুলে ধরেন। সচিব খাজা মিয়া এ আয়োজনের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান।
এদিন সহায়তা প্রাপ্তদের মধ্যে ৩০ জনের হাতে চেক হস্তান্তর করেন অতিথিবৃন্দ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০০ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যকে ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
২০১৪ সালের ৮ জুলাই গেজেটে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪’ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৯৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৩১ জনকে ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ৩০৩ জনকে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৩৯ জনকে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ১৯৯ জনকে দেয়া হয়।
এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনাকালীন বিশেষ অনুদান হিসেবে ৩ হাজার ৩৩৫ জনকে ১০ হাজার করে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা দেয়া হয়। সব মিলিয়ে গত অর্থবছর পর্যন্ত ট্রাস্ট ৪ হাজার ৬৪০ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলে সিডমানি হিসেবে জমা হয়েছে ৪৩ কোটি ৮ লাখ ২৭ হাজার ৮১ টাকা। এছাড়াও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের জন্য ট্রাস্টকে ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব খাজা মিয়া বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় অংশ নেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
Related News

৩ জুলাই : কোটাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শিক্ষাঙ্গন, বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীRead More

অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান, প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অপতথ্য মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং গণমাধ্যমকে নৈতিক মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানRead More