Main Menu

সরকারের কাজে সহমত না হলেও অনুগত হবেন, পরিকল্পনামন্ত্রী

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, সরকারের অনেক কাজের সাথে একমত নাও হতে পারেন। তারপরও তাদের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। তিনি বলেন, বাইরে যারা খেলছে তাদের খেলতে দিন (আল জাজিরার সংবাদ প্রসঙ্গে)। আপনারা সেদিকে নজর দেবেন না। আপনারা দরজা-জানালা বন্ধ করে, বাতি জ্বালিয়ে কাজ করে যান। বাইরের বিষয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। কাজ ফেলে রাখবেন না। দিনের কাজ দিনেই করুন।সময়ের কাজটা সময়ে করবেন। সময় দ্রুত গড়িয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বেতন নিচ্ছেন, সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন, তাই আজকের কাজটা যথাসময়ে পালন করবেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার অনুষ্ঠিত এক কনসালটেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘টু ডিসকাস অ্যান্ড ভেলিডেট সেক্টর রি ক্লাসিফিকেশন অব এডিপি’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে পকিল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ। তাদের সহায়তা করে জাইকা।

পরিকল্পা সচিব জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিকল্পা কমিশনের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ, মামুন আল রশিদ, মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম, রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাও। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খন্দকার আহসান হোসেন। এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই বিভাগের জয়েন্ট চিফ সাইদুজ্জামান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একই মর্যাদার। এখানে সুপার মিনিস্ট্রি ও সুপার বিভাগ বলে কিছু নেই। তবে একজন সুপার মন্ত্রী আছেন। তিনি আমাদের দলনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কারও উপর খবরদারি বা কোনো মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করে যাব। যে সুযোগ আমরা পেয়েছি তা কাজে লাগাতে হবে। দেশ এখন তৈরি আছে। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, নিষ্প্রাণ প্রশাসন কোনো প্রশাসনই নয়। প্রশাসন হতে হবে অতি চঞ্চল। অতি সুন্দর ও গতিশীল হতে হবে। কর্মকর্তাদের সৃজনশীল হতে হবে। তবে সবকিছুই করতে হবে আইনের মধ্য থেকেই। আমার বেতন কত সেটি মানুষের আগ্রহ নেই। তারা জানতে চায় এলাকার জন্য কি আনলেন। এলাকায় কয়টা সেতু কালভার্ট করা হলো। এসব দৃশ্যমান কার্যক্রমের প্রতি জনগণের আগ্রহ আছে।

ওয়ার্কশপে জানানো হয়, বর্তমানে অর্থমন্ত্রণালয় ১৪টি সেক্টরের আওতায় বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। অপরদিকে পরিকল্পনা কমিশনের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৭টি সেক্টরে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এতে এক ধরনের জটিলতা বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়েছে।’

অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, সরকার এক, বাজেট এক, কিন্তু সেক্টর ভিন্ন। এটি দীর্ঘদিন চলতে পারে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আমরা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে চেষ্টা করছি যাতে সেক্টরগুলোও এক হয়। তা না হলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এটা ভালো উদ্যোগ।

সচিব জয়নুল বারি বলেন, আমরা একটি বাজেটে একীভূত কাঠামো তৈরি করতে চাই। যাতে বাজেট ও এডিপির মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকে।’

কর্মশালায় জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, আমার চাকরি জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই সমস্যায় পড়েছি। সুন্দর এডিপি তৈরির স্বার্থে সেক্টর সংক্রান্ত এই সমস্যার সমাধান জরুরি। প্লানিং কমিশন গঠনের শুরুর দিকে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা সব দেশেই নানা সমস্যা ছিল। সেগুলো ধীরে ধীরে তারা সমাধান করেছে। আমরাও পারব।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *