সিলেটের ১০ শুল্ক ষ্টেশন বন্ধ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
সিলেটের ১৩ টি শুল্ক ষ্টেশনের মধ্যে ১০ টি ষ্টেশন এখনও বন্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সবকটি বন্ধ হয়ে যায়। এরমধ্যে ৩ টি খোলা হলেও ১০ টি বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ব্যবসায়ীরাও বড় ধরণেল ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।
তবে, বন্ধ থাকা শুল্ক ষ্টেশনের ক্ষতি চলতি অর্থবছরের আগামী ৬ মাসে খাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে জানিয়েছেন শুল্ক ষ্টেশন কর্তৃপক্ষ।
বন্ধ শুল্ক ষ্টেশনগুলো হচ্ছে- জকিগঞ্জ, শেওলা, জুড়ি, চাতলাপুর, বাল্লা, ছাতক, চারাগাঁও, বাগলি, চেলা, ইছামতি।
তবে, সিলেটের একমাত্র স্থলবন্দর তামাবিল, শুল্ক ষ্টেশন ভোলাগঞ্জ ও বড়ছড়া গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে চালু হয়েছে। তামাবিল দিয়ে পাথর, কয়লা, ভোলাগঞ্জ দিয়ে শুধু পাথর, বড়ছড়া ষ্টেশন দিয়ে কয়লা ও পাথর আমদানী হচ্ছে।
সিলেট কাষ্টমের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, চালু হওয়া ষ্টেশনগুলো দিয়ে শুধুমাত্র আমদানী হয়, রফতানী হয়না। করোনা ভাইরাসের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের সরকার স্বাস্থবিধিতে কড়াকড়ি আরোপের কারণে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা আমদানী-রফতানীতে পিছপা হচ্ছেন। তবে চালু হওয়া ষ্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ষ্টেশন প্রতি আড়াই থেকে তিনশত ট্রাক যোগে কয়লা ও পাথর আমদানী হচ্ছে। অধিকাংশ ষ্টেশন বন্ধ থাকায় সরকার বড় ধরণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অর্থবছর শেষ হতে আরও ৬ মাস বাকী, এই ৬ মাসে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাবো রাজস্ব ঘাটতি পূরণের।
ভোলাগঞ্জ শুল্ক ষ্টেশনের কাষ্টম সুপার আব্দুর রহিম জানান, তার ষ্টেশন দিয়ে কোন রফতানী হয়না, শুধু প্রতিদিন দুই’শ থেকে তিন’শ পাথর আমদানী হয়। শীতকালীন সময়ে মৌসুমী ফল আমদানী-রফতানী হলে রাজস্ব আয়ের মাত্রা আরো বেড়ে যেত। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমদানী-রফতানীতে আগ্রহ থাকলেও ভারতের ব্যবসায়ী, কাষ্টম কর্মকর্তাদের আভ্যন্তরিন জটিলতার কারণে শুল্ক ষ্টেশনগুলোতে গতি ফিরে আসছে না।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীদের মতে যদিও করোনা ভাইরাসের কারণে দু’দেশেরই আমদানী-রফতানীতে গতি কমে এসেছে, তবুও দু’দেশের দ্রব্য বিনিময় চাঙ্গা রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ষ্টেশন পুরোদমে চালু করা উচিত।
এব্যাপারে তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রæপের অন্যতম সদস্য আতাউর রহমান বাবুল জানান, স্থলবন্দর তামাবিল দিয়ে এলসি অনুযায়ী মালামাল আসছে। তামাবিলের পাশ্ববর্তী ভারতের ডাওকি ব্রীজের ওজন কমে যাওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে কয়লা-পাথর আমদানী কমে এসেছে। তিনি জানান, ভারতীয় কাষ্টম মালের ওজন করে এ রাজস্ব আদায় করছে। কিন্তু মালবাহী ট্রাকের ওজন তারা বাদ দিয়ে রাজস্ব আদায় করে নিচ্ছে। ট্রাকের ওজন রাজস্ব আয়ের আওতায় পড়ে না। এখানেও আমাদের সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তবে, আমদানী-রফতানী কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি করোনা ভাইরাস ও দু’দেশের ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহতাকেই দায়ি করেছেন।
Related News
বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে, ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেকাল্টি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের ডীন ড. মোহাম্মদRead More
কন্দাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশব্যপী আরো বিপ্লব ঘটাতে হবে, ড. কাজী মজিবুর রহমান
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান বলেছেন, কন্দালRead More